সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১০:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
দিল্লি বিমানবন্দরে বাংলাদেশী গার্মেন্টসের রফতানি বাড়ায় ভারতীয়দের আপত্তি নকলায় বিএনপির ৪ নেতানেত্রীকে বহিষ্কার পালিয়ে বাংলাদেশে এলেন আরও ৮৮ বিজিপি সদস্য ১২ দিনে পানিতে ডুবে ১২ শিশুর মৃত্যু অর্থবছরের ছয় মাসে রাজস্ব আহরণ প্রায় ১৪ শতাংশ বেড়েছে: অর্থমন্ত্রী চাঁদপুর সেচ প্রকল্প বাঁধের মাটি ইটভাটায় ব্যবহারের অভিযোগ বরিশালে ৮ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর অভ্যন্তরীন ও দুরপাল্লার বাস চলাচল শুরু : অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আপনাদের সহায়তায় সুস্থ জীবন চাই শ্রীমঙ্গলে সদ্যপ্রতিষ্ঠিত নূরে মদিনা মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও লেখাপড়ার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা ফুলপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবের মিছিল

নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০২০

করোনাভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং সরকারের নির্ধারিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন মুদ্রানীতিতে চলতি অর্থবছরের জন্য বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি আগের বছরের মত অপরিবর্তিত রেখে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও গত অর্থবছরে ঘোষিত মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বুধবার (২৯ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে মুদ্রানীতির এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

সাধারণত সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন। করোনাভাইরাসের কারণে এবার আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া শুধু ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে মুদ্রানীতি। বাংলাদেশ ব্যাংক আগে প্রতি ছয় মাসের আগাম মুদ্রানীতি ঘোষণা করলেও গত অর্থবছর থেকে তা এক বছরের জন্য করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবার মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও প্রকাশ করেছে। দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় মুদ্রানীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ঋণ, মুদ্রা সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ, বৈদেশিক সম্পদ কতটুকু বাড়বে বা কমবে এর একটি পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, করোনাভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় নতুন বিনিয়োগ জোরদারকরণে বেসরকারি খাতে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধি পর্যাপ্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গভর্নর বলেন, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য মুদ্রানীতির মূল লক্ষ্য হলো চলমান করোনাভাইরাসজনিত মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করা এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে আর্থিক খাতের সার্বিক ব্যবস্থাপনা নির্ধারণ করা।

২০২০-২১ এর মুদ্রানীতি ভঙ্গিকে স্পষ্টতই সম্প্রসারণমূলক ও সংকুলানমুখী উল্লেখ করে গভর্নর জানান, মুদ্রানীতির মূল কাজ হলো মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে রেখে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে স্বাভাবিক অর্থাৎ কোভিড-১৯ পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরিয়ে আনা।

প্রবৃদ্ধির এবং মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রাকে দুটির যোগফল থেকে প্রাপ্ত নমিনাল বা বাজারমূল্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ। এর সাথে অর্থের আয় গতির পরিবর্তন সমন্বয় করে ব্যাপক মুদ্রা সরবরাহের (যা মুদ্রানীতির মধ্যবর্তী লক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত) প্রয়োজনীয় প্রবৃদ্ধি নির্ধারণ করা হয় ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ।

২০২০-২১ অর্থবছরে বৈদেশিক লেনদেন খাতের সম্ভাব্য গতিধারা বিবেচনা করে ব্যাপক মুদ্রা সরবরাহের অন্যতম উপাদান ব্যাংক ব্যবস্থার নিট বৈদেশিক সম্পদের প্রবৃদ্ধি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের (১০ দশমিক ২ শতাংশ) তুলনায় অনেক কম।

এ অর্থবছরে নিট বৈদেশিক সম্পদের প্রবৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও সম্প্রসারণমূলক ও সংকুলানমুখী মুদ্রানীতি ভঙ্গির কারণে নিট অভ্যন্তরীণ সম্পদ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। সে হিসেবে মোট অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ। এর মধ্যে সরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে ৪৪ দশমিক ৪ শতাংশ এবং বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৪ দশমকি ৮ শতাংশ। তবে গত অর্থবছরে এক লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও অর্জন হয়েছে মাত্র ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি সরকারি খাতের তুলনায় কম দেখালেও টাকার অংকে বেসরকারি খাতের জন্য প্রক্ষেপিত মোট ঋণের পরিমাণ সরকারি খাতের তুলনায় অনেক বেশি হবে।

২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য গৃহীত সম্প্রসারণমূলক মুদ্রানীতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় অর্থের সরবরাহ নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে সিআরআর ও রেপো সুবিধা হারে পরিবর্তন আনয়ন, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সেকেন্ডারি মার্কেট হতে সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয়ের ওপর গুরুত্বারোপ এবং বিভিন্ন নতুন পুনঃঅর্থায়ন স্কিম চালুর পাশাপাশি ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম চালুকরণের মতো পদক্ষেপসমূহ কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে প্রত্যাশা করা যায়।

এমআইপি/প্রিন্স




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com