ওহ! আহ! ইশ! আফসোসই প্রাপ্তি। এভাবে আসলে ক্রিকেট খেলা হয় না। ক্রিকেট সাহসীদের খেলা; ঘোমটা টানা বৌদিদের দিয়ে আর যাই হোক, ক্রিকেট যায় না। তবুও হারের কারণ নিয়ে করছি কিছুটা আলোচনা-সমালোচনা। স্বপ্ন না সত্যি? ভেবে হয়তো নিজেই নিজেকে চিমটি কাটছিলেন। এমনটাই তো হবার কথা, গত ৫ মাসে মারেননি কোনো হাতি-ঘোড়া; তবুও হঠাৎ করে এশিয়া কাপের বহরে। নামই ছিলো না শুরুতে, ছিলেন এ দলের সফরে। হঠাৎই কিসের ভিত্তিতে দলে ফেরা তার, হয়তো নিজেও উত্তর খুঁজে পাননি। পরে হয়তো মুচকি হেসে বলেছেন, এ আর তেমন কী, বাংলাদেশ দল তো এমনই। এখানে সুযোগ পেতে পারফর্ম করতে হয় না, অন্যের ব্যর্থতাই যথেষ্ট! শেষ ৪ ম্যাচের চারটাতেই প্রথমে ব্যাট করা দল জয় পেয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়ক টস জিতে ব্যাটিংটাই নিয়েছে। একাদশটাও মানানসই বটে, যদিও মোস্তাফিজকে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ম্যাচ শেষে। আরো একবার যেন প্রমাণ হলো, দেশের বাইরে তিনি সর্বনাশে। দেশসেরার তকমা নিয়ে, আইপিএল খেলার অজুহাতে যেন প্রতিনিয়তই উপহাস করে চলেছেন দেশের সাথে। মিথ্যে বলিনি আমি, পরিসংখ্যান বলে – ১টা উইকেট নিতে রান দিচ্ছেন তিনি ৫১ গড়ে! তবে একটা প্রশ্ন মনে ভাসছে। একই ধরনের বল করে রুবেল হোসেন যখন অস্তিত্ব সঙ্কটে, মোস্তাফিজ তখন কী করে থাকেন অটো চয়েস হয়ে?
পরিসংখ্যান আর স্কোরকার্ড দেখে হয়তো সহসাই বলে ফেলবেন, এ আর তেমন কি? ভরসা তো রাখাই যায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদে। পার-সমর্থক হলে হয়তো বলে উঠেবেন, অবিচার হয়েছে রিয়াদের সাথে। আসলে পরিসংখ্যান মানেই ধোঁকা; নেভিল কার্ডাসের মতে পরিসংখ্যান আস্ত বোকা। ব্যর্থতা আগলে রাখে, আড়াল করে গাণিতিক মায়াজালে। ব্যাট হাতে ধারহীন ভোঁতা দীর্ঘদিন ধরে, ফিল্ডিংয়েও বেশ মরিচা ধরেছে। শুধুই ক্যাচ মিস নয়, মাঠে তার ছুটে চলাই যেন বয়সের বার্তা বহন করে। ১১ মাস পর টি-টোয়েন্টি দলে। এই এগারো মাসে পৃথিবীর অনেক কিছুই যদিও বদলে গেছে, বদলে যাননি শুধু সাইফুদ্দীন নিজে। যেখানে থেমেছিলেন সেখানেই যেন ফিরলেন। ফিরলেন সেই পুরনো রূপে, ফিরলেন ফের উদার হস্তে। বড়লোক বাপের বিগড়ে যাওয়া ছেলে যেন, দুই হাতে টাকা উড়ান মন মতো। গত বছরের অক্টোবরে লঙ্কানদের বিপক্ষে এক ওভারে ২২ রান দিয়ে এতদিন ছিলেন অন্তরালে। যখন আবার ফিরলেন আফগানদের বিপক্ষে, আবারো ২২ রান দিলেন এক ওভারে! ধারাবাহিকতা হিংসে হবার মতো.. ১৪ বলে ৫। আধুনিক ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে, ইনিংসের উদ্বোধনীতে পাওয়ার প্লের মাঝে! একাদশের একমাত্র সাময়িক নির্ভরযোগ্য ওপেনার হিসেবে জায়গা পেয়েছিলেন এশিয়া কাপে। অথচ শেষ ৬ ম্যাচে ১৪ গড় তার, ৪৫ রান মোটে। স্ট্রাইক রেট ১০১। সেখান থেকে এশিয়া কাপে সেরা ওপেনারের তকমা দিয়ে একাদশ সাজালে এর থেকে ভালো আর কী-ই বা হতে পারে? পরের ম্যাচগুলোয় জায়গা পেলে তাই, অবাকই হবো বটে। নয়াদিগন্ত অন লাইন