গতকাল সোমবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন অ লে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও ছিল মেঘলা আকাশ, কোথাও বৃষ্টি। কিন্তু বেলা আড়াইটা নাগাদ চারদিক অন্ধকার হয়ে মুষলধারে বৃষ্টি নামে রাজধানীজুড়ে। ত্রিশ মিনিটের ভারী বৃষ্টিতে ডুবে গেছে রাজধানীর অলিগলির খানাখন্দ, ডোবা, নর্দমা। কোনও কোনও এলাকার বড় রাস্তায়ও পানিতে তলিয়ে গেছে।
এখন সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বেলা ৩টায় অফিস ছুটির সময়। আজ অফিস থেকে বের হয়েই বৃষ্টির কবলে পড়েছেনে অনেকে। অনেকেই পাচ্ছেন না যানবাহন। পেলেও প্রচ- ভিড়। ফলে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। এদিকে শহরের অনেক স্কুল-কলেজও ছুটি হয় এই সময়ে। তাতে একই ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরও। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, আগামী দুই থেকে তিন দিন এই বৃষ্টি চলবে। তবে একটানা নয়, থেমে থেমে। কোথাও ভারী আবার কোথাও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যা ল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, পাবনা, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অ লের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।