দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর তালিকায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৬ জনের নাম যুক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৫ জন এবং নারী ১১ জন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন হাজার ৭৪০ জনে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও তিন হাজার ২০০ জন। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৮২ হাজার ৩৪৪ জনে।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯১টি আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে ১৫ হাজার ৪৩৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৪ হাজার ৬৩০টি নমুনা। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৮১৯টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও তিন হাজার ২৩৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৬২ হাজার ৮২৫ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪৮ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।
গতকাল সোমবারের (১৭ আগস্ট) প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭ জন মারা গেছেন। ১২ হাজার ৫২৩টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৫৯৫ জনের মধ্যে। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ৬৪ জনের। সে তথ্য জানানো হয় ৩০ জুনের বুলেটিনে। সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড চার হাজার ১৯ জনের, যা জানানো হয় ২ জুলাইয়ের বুলেটিনে।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানো করোনাভাইরাস এখন গোটা বিশ্বকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। এতে আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি ২০ লাখ ৭০ হাজার প্রায়। মৃতের সংখ্যা সাত লাখ ৭৭ হাজারের বেশি। তবে সুস্থ রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৪৮ লাখেরও বেশি। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এতে প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
এমআইপি/প্রিন্স