জেলার পাঁচবিবি উপজেলায় প্রায় ৮০ বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে অসময়ের সুস্বাদু ও পুষ্টিকর থাইল্যান্ড ও তাইওয়ান জাতের তরমুজ চাষ হয়েছে। বিদেশী জাতের তরমুজ চাষ করেছেন পাঁচবিবির উপজেলার কোকতারা (পাকুড়তলী) গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে চাষি রাকিব হাসান। উপজেলার চম্পাতলী মাঠে অন্য তরমুজ চাষিদের উৎসাহ পেয়ে নিজের মেধা ও ইচ্ছা শক্তিতে তিনি দুই বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। হাসান বলেন, আমি জংলা আর মাটিতে খড় বিছিয়ে তরমুজের চাষাবাদ করছি। চাষ দেয়া, সার-কীটনাশক, নেট, বাঁশ-খুঁটি সবমিলে লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে গাছের ডগায়-ডগায় বিপুল পরিমাণ ফুল ও ফল ধরতে শুরু করেছে। ফুল-ফল আসা দেখে আমি আনন্দিত।
উপজেলার অনেক এলাকাতেই কয়েক বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে অসময়ের সুস্বাদু ও পুষ্টিকর বিদেশী জাতের ফল তরমুজ চাষ হচ্ছে। কম খরচ লাভ বেশি এজন্য অনেক কৃষক অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি তরমুজ চাষে এগিয়ে আসছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফর রহমান জানান, থাইল্যান্ড ও তাইওয়ান জাতের তরমুজ আকারে গোল ও পুষ্টিকর জাতের তরমুজ। এ বছর উপজেলায় প্রায় ৮০ বিঘা জমিতে বিদেশী জাতের তরমুজ চাষ হয়েছে। অসময়ে বিদেশী জাতের ওই তরমুজ চাষ সম্প্রসারণে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের নিয়ে মাঠ দিবসসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।