কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) সাংবাদিকদের সাথে উপাচার্যের অসৌজন্যমূলক আচরণে প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, গণমাধ্যম কর্মীদের পেশাগত দিক থেকে সমুন্নত হওয়া উচিত এবং ভিসিকেও গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি সমুন্নত আচরণ করা উচিত।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ভিসি অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত দৈনিক নয়া দিগন্তের সংবাদদাতা মো: মানছুর আলম অন্তর, দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রতিনিধি নাঈমুর রহমান রিজভী ও ডেইলি ক্যাম্পাসের প্রতিনিধি হাসান মাহমুদকে উদ্দেশ্য করে ভিসি বলেন, ‘তোমাদের পারপাস কি? বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করা? তোমরা বসে আছ বিশ্ববিদ্যালয়ের মান সম্মান নষ্ট করার জন্য? কে তোমাদের পয়সা দেয়? কে চালাচ্ছে? আমি তোমাদের কোনো ইন্টারভিউ দিব না। তোমাদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় নেই।’
এ সময় তিনি দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকায় ‘নাম বদলে সান্ধকালীন কোর্স’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় প্রতিনিধি নাঈমুর রহমান রিজভীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুমি এটা কি রিপোর্ট করেছ বল আমাকে? কিসের জন্য করেছ এই রিপোর্ট? কোনো অসুবিধা হইছে বিশ্ববিদ্যালয়ের?’
তবে এসব বিষয়ে পুনরায় ভিসি অধ্যাপক ড. এ এফ এম আব্দুল মঈনের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ ছাড়াও বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনিক সময়ের আলোর প্রতিনিধি এ বি এস ফরহাদ সংবাদের বক্তব্য সংগ্রহ করতে গেলে তিনি বলেন, ‘তোমরা বক্তব্য মিস কোড কর। আমি কোনো বক্তব্য দিব না। তোমার যা মন চায় লিখ।’
উল্লেখ্য, গত ১২ সেপ্টেম্বর নয়া দিগন্ত ও দেশ রূপান্তর পত্রিকায় ‘কুবিতে ইউজিসির সিদ্ধান্ত মানছেন না ভিসি নিজেই, নিচ্ছেন উইকেন্ড ক্লাস’ ও ‘নাম বদলে সান্ধ্যকালীন কোর্স’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ক্লাস না নেয়ার নির্দেশনা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগ, ইংরেজি বিভাগসহ কয়েকটি বিভাগে উইকেন্ড প্রোগ্রাম চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগে উইকেন্ড ১৮তম ব্যাচের একটি কোর্সের শুক্রবার তিন ঘণ্টা ক্লাস নেন ভিসি ড. এ এফ এম আব্দুল মঈন। এতে ইউজিসির নির্দেশনা না মেনে উইকেন্ড প্রোগ্রাম চলমান এবং খোদ ভিসির ক্লাস নেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও ভিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন বিষয়ে সংবাদের বক্তব্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের উপর বিরক্ত প্রকাশ করেন তিনি।