মাল্টা চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন আক্কেলপুর উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকা আবাদপুর গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন । মাল্টা চাষী দেলোয়ার হোসেন ও আক্কেলপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের শেষ পর্যায়ে প্রায় দেড় বিঘা নিজের জমিতে বারি-১ জাতের মাল্টা চাষ শুরু করেন দেলোয়ার। মাল্টা চাষে লাভবান হবেন এমন প্রত্যাশায় বুক বেঁধে পরিচর্যা করে যাচ্ছেন সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়। দেড় বিঘা জমিতে মাল্টা গাছের চারা রোপণ করেছেন ১৬০টি। প্রতিটি গাছে দোল খাচ্ছে মাল্টা। সেই সঙ্গে দোল খাচ্ছে কৃষক দেলোয়ারের স্বপ্ন পূরণের আশা। মাল্টার গাছ গুলো ভারে ন্যুয়ে পড়ার উপক্রম হয়ে পরলে বাশেঁর মাচা দেওয়া হয়েছে অনেক মাল্টার গাছে যেন পড়ে না যায়। কৃষক দেলোয়ারের পাশাপাশি পরিবারের লোকজনও পরিচর্যা কাজে সহায়তা করে থাকেন বলে জানান, মাল্টা চাষী দেলোয়ার হোসেন। মাল্টা বাগান জুরে প্রচুর পরিমানে মাল্টা দোল খাচ্ছে গাছে গাছে। মাল্টার দোল খাওয়ার সঙ্গে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন কৃষক দেলোয়ার। আক্কেলপুর উপজেলা কৃষি বিভাদের তত্বাবধানে নিয়মিত মাল্টার বাগান পরিদর্শন ও পরামর্শ প্রদান করা হয় বলে জানান ওই ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপ সহকারি কৃষি অফিসার আবু বক্কর সিদ্দীক। স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি মাল্টা ৯০ থেকে ১১০ টাকা পাইকারী বিক্রি হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১০ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি হয়েছে। বাগান থেকে এবার সাড়ে তিন হাজার থেকে ৪ হাজার কেজি মাল্টা পাওয়ার আশ করছেন কৃষক দেলোয়ার। গাছে অধিক হারে মাল্টা ধরায় খুশি বলে জানান তিনি। আক্কেলপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানা, উপজেলায় এবার ১৮ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ হয়েছে। এতে মাল্টা উৎপাদন হবে প্রায় ১২৬ মেট্রিক টন। এবার প্রকল্পের আওতায় সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে উপজেলায় মাল্টা চাষ হয়েছে ১৬ হেক্টর জমিতে। সঠিক ভাবে পরিচর্যা করা হলে চারা রোপণের দুই বছরের মাথায় ফল আসতে শুরু করে। উপজেলা কৃষি অফিসার এমরান হোসেন বলেন, মাল্টা চাষ লাভবান হওয়ায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক কৃষক এগিয়ে আসছেন মাল্টা চাষে। প্রশিক্ষণসহ মাল্টা চাষে এখন কৃষকদের সরকারি ভাবে সহায়তা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।