দেশে মাসে ফ্রি ডেটায় ইন্টারনেটে থাকেন ৩ কোটিরও বেশি গ্রাহক। ডিসকভার অ্যাপ ও টেক্সট-অনলি ফেসবুকের মাধ্যমে এই সুবিধা পেয়ে থাকেন মোবাইলফোন গ্রাহকরা। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত এই ৫ মাসে ১৪ কোটি ৬৬ লাখ মানুষ টেক্সট-অনলি ফেসবুকের মাধ্যমে ইন্টারনেটে ছিলেন। এছাড়াও ডিসকভার অ্যাপ ব্যবহার করেছেন ২ লাখ ৫৩ হাজার ৯৩৮ জন। যেখানে ১৫ হাজার ৫৭১ টেরাবাইট ডেটা খরচ হয়ছে, ব্যান্ডউইথ ছিল ৪ দশমিক ৭৬ জিবিপিএস।
ফেসবুকের মাদার কোম্পানি মেটার সঙ্গে পার্টনারশিপে দেশে চালু হওয়া এই উদ্যেগে মোবাইলফোন অপারেটরদের বর্তমানে এক জিবিপিএসের বেশি ব্যান্ডউইথ খরচ করতে হয়।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের মে মাসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এক মাসে ৩ কোটি ৩৪ লাখ গ্রাহক টেক্সট-অনলি ফেসবুক ব্যবহার করেছেন। যেখানে গ্রামীণফোনের এক কোটি ৫০ লাখ, রবির এক কোটি ৬ লাখ এবং বাংলালিংকের ৭০ লাখ ৮০ হাজার গ্রাহক ছিলেন। এই মাসে ৩ অপারেটর মিলে ডিসকভার অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৪৭ হাজার ৪১৪ জন।
এই মাসে অপারেটরগুলোর মোট ব্যান্ডউইথ খরচ হয়েছে এক দশমিক শূন্য ৩ জিবিপিএস। যেখানে গ্রামীণফোনের শূন্য দশমিক ৪৩, রবির শূন্য দশমিক ৩৮ এবং বাংলালিংকের শূন্য দশমিক ২১ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ খরচ হয়েছে। ডেটার হিসেবে যা ছিল গ্রামীণফোনের (জিপি) এক হাজার ৪১৯ দশমিক ৮ টেরাবাইট, রবির এক হাজার ২৭৮ টেরাবাইট এবং বাংলালিংকের ৭১৩ টেরাবাইট।
ডিসকভার অ্যাপের ক্ষেত্রে জিপির একজন গ্রাহক প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১৫ এমবি এবং মাসে ১৫০ এমবি পর্যন্ত ফ্রি পান। রবির গ্রাহকরা পান ১০ এমবি প্রতিদিন এবং মাসে ১৫০ এমবি সর্বোচ্চ। এছাড়া বাংলালিংকের গ্রাহকরা প্রতিদিন ২০ এমবি এবং মাসে সর্বোচ্চ ৬০০ এমবি পর্যন্ত ফ্রি পান।
এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিপুল সংখ্যক গ্রাহক ডিসকভার অ্যাপ ও টেক্সট-অনলি ফেসবুকের মাধ্যমে নিজেদের ইন্টারনেটে সংযুক্ত রাখছেন। তারা বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্যবহার করে তথ্যপ্রবাহের সঙ্গে থাকছেন। এতে ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন বাস্তবায়নে সহায়ক হয়েছে। বিটিআরসি ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর অপারেটরগুলোকে এই টেক্সট-অনলি ফেসবুক, মেসেঞ্জার এবং ডিসকভার অ্যাপ সেবার অনুমোদন দেয়।