ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে সীমান্তের ভুবনকুড়া ইউনিয়নে কড়ইতলী কোচপাড়া গ্রামে বন্য হাতির আক্রম থেকে রেহাই পেতে নিজের তৈরী বৈদ্যুতিক ফাঁদের সংযোগ দিতে গিয়ে জাহাঙ্গীর নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুরে ঝিঙ্গা ক্ষেতে বন্য হাতির একটি দল আকর্ষিক হামলা চালিয়ে কৃষকের প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। পরে শত শত গ্রামবাসী মশাল জালিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে সন্ধায় কৃষক জাহাঙ্গীর সহ বেশ কয়েকজন মিলে ঝিঙেসহ অন্যান্য সবজি ক্ষেতের চারপাশে জিয়াই তাড় দিয়ে আটকিয়ে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রায় কয়েক বছর ধরে বন্যহাতির সাথে যুদ্ধ করেই তাদের জীবন চলছে। এই যুদ্ধে গত ৫ দিনে চলে গেল নওশের আলী সহ ২ জনের প্রান। এ ভাবে বছরের পর বছর কেউ না কেউ হাতির আক্রমে মৃত্যু বরণ করছেন। কিছু আর্থিক সহায়তা ছাড়া আর কিছুই ঝুটছে না তাদের পরিবারের। উপজেলা প্রশাসন থেকে নেওয়া হচ্ছে না কোন যোগপযোগি পদক্ষেপ। এতে বন বিভাগের অবহেলা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তাড়া। একদিকে কৃষকের মৃত্যু অন্যদিকে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার শীতকালীন সবজি ঝিঙে চাষের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি-এ যেন মরার উপর খারার ঘাঁ। বন্যহাতির আক্রমনের খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে হাজির হয়ে ভুক্তভোগী কৃষকের মাঝে টর্চ লাইট ও কিছু মশাল উপহার দিয়ে সফর সঙ্গীদের নিয়ে মশাল জালিয়ে বন্য হাতির দলকে তাড়াতে চেষ্টা করেন বিএনটি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালে প্রিন্স। তিনি বর্তমান সরকারকে উদ্যেশ্যে করে বলেন, হালুয়াঘাট সীমান্তের মানুষ আজ অসহায়। ভারতের সাথে কথা বলে দ্রুত হাতিরদল সারানোর ব্যবস্থা করেন। স্থানীয় ভাবে সমস্যা সমাধানসহ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মাঝে ক্ষতিপুরন দিয়ে তাদের বাচাঁন। স্থানীয় বন বিভাগের গোপালপুর বিট কর্মকর্তা মোঃ মাজহারুল হক বলেন, সীমান্ত এলাকায় বেশ কিছু জায়গায় সোলার সিস্টেম আছে। কড়ইতলী সহ আরো কিছু জায়গায় সোলার প্যানেল দেওয়া হবে বলে তিনি আশ^স্থ করেন। প্রতিদিন হালুয়াঘাট সীমান্তে শতাধিক মানুষ নির্ঘুম দিন কাটাচ্ছে। হারাচ্ছে তাদের স্বজন। লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষকের। বন্যহাতির আক্রমন থেকে সীমান্ত এলাকার মানুষকে মুক্তি দিতে সকারের কাছে জোরদাবী জানান ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীরা।