কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার খারাংখালী সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এতে সীমান্তবর্তী জমিতে কৃষি কাজে যেতে পারছেন না কৃষকরা। আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
গত বৃহস্পতিবার রাতে এবং গতকাল শুক্রবার সকাল ও দুপুরে থেমে থেমে গোলাবর্ষণ অব্যাহত ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার ভোর রাত থেকে একের এক মর্টারশেলের মতো ভারী অস্ত্রের গোলার শব্দে কেঁপে ওঠে টেকনাফের খারাংখাললী সীমান্ত এলাকা। থেমে থেমে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তারা। মাসব্যাপী একের পর এক তুমব্রু, উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তে ভারী গোলাবর্ষণের শব্দে নারী, শিশুসহ সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্থানীয় সাংবাদিক সুজা উদ্দিন রুবেল। তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে ও দুপুরে টেকনাফ খারাংখালী এলাকায় সীমান্তে ভারী অস্ত্রের শব্দ শোনা গেছে। এই ভারী অস্ত্রের বিকট শব্দে কৃষকরা আতঙ্কিত হয়ে ক্ষেত-খামার ও চিংড়ি ঘেরে কাজ করতে পারছে না।
খারাংখালী এলাকার কৃষক মোহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, সকালে খারাংখালী সীমান্ত এলাকায় কৃষি কাজ করে চিংড়ি ঘেরে যাচ্ছিলাম। এ সময় বোমার মত বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ভয়ে সাথে সাথে কাজ ফেলে দ্রুত বাড়িতে চলে আসি। এ বিষয়ে বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট উখিয়ার আন্জুমান সীমান্ত এলাকা দিয়ে হাজার হাজার মিয়ানমারেরর নাগরিক রোহিঙ্গারা এ দেশে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে ১২ লাখ রোহিঙ্গা উখিয়া-টেকনাফে ৩৪টি ক্যাম্পে অবস্থান করছে।