গাছেই নষ্ট হচ্ছে পান পাতা এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা। দিনাজপুরের হাকিমপুরে পানের বরজে পচন রোগ দেখা দিয়েছে। এনিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পান চাষিরা। পানের ফলন ভালো হওয়া সত্ত্বেও রোগ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন তারা। চাষিদের অভিযোগ, রোগ নিয়ন্ত্রণে ওষুধ দিয়েও কোনো উপকার পাচ্ছেন না। তবে উপজেলা কৃষি দপ্তর বলছে, পচনসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন তারা।
সরেজমিনে গত শনিবার (১ অক্টোবর) উপজেলার ঘাসুরিয়া ও মাধবপাড়া গ্রামের কয়েকটি পানের বরজ ঘুরে দেখা যায়, এই অঞ্চলের মাটি পান চাষের জন্য উপযোগী। বর্তমান পান একটি লাভ জনক ফসল। তাই এই দুইটি গ্রামে গড়ে উঠেছে দেড় শতাধিক পানের বরজ। ওই এলাকার চাষিরা পান চাষ করেই আর্থিকভাবে সাবলম্বী হয়েছেন। চলতি বছর পানের ফলন ভালো হওয়ায় দামও ভালো পাচ্ছেন চাষিরা। কিন্তু কিছুদিন আগেই দেখা দিয়েছে পচন রোগ। এই রোগ ছোঁয়াছে রোগের মতো। যে বরজে দেখা দিচ্ছে, কয়েকদিনের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ছে তা অন্য বরজগুলোতে।
উপজেলার মাধবপাড়া গ্রামের পানচাষি মোস্তাফিজুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমার দেড় বিঘা জমির উপর একটি পানের বরজ আছে। এই বরজটি আমার বাবা তৈরি করেছেন। বর্তমান আমি এই বরজের উপর ভর করে সংসার চালাই। বাজারে পানের দাম অনেক ভালো। তবে কিছুদিন আগে বরজে পচন রোগ দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন ওষুধ স্প্রে করছি, তাতে কোনো ফল আসছে না। খুবি চিন্তায় আছি।’
ঘাসুড়িয়া গ্রামের বরজ মালিক সাইদুর রহমান বলেন, ‘হাটে বড় আকারের পান ১২০ টাকা বিরা বিক্রি করছি। পানের বরজই আমার হালগরু। আল্লাহ দিলে কয়েক বছর ধরে পানের দাম ভালো পাইছি, এবারও দাম ভাল আছে। কিন্তু হঠাৎ পানপাতা গাছে থাকতেই পচন রোগে আক্রমণ করেছে। বরজ নিয়ে খুবি আতঙ্কে আছি।’
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ড. মমতাজ সুলতানা বলেন, ‘উপজেলার ৪০ হেক্টর জমিতে ১৫৬টি পানের বরজ রয়েছে। বরজগুলোর অধিকাংশই খট্রামাধবপাড়া ইউনিয়নের ঘাসুরিয়া ও মাধবপাড়া গ্রামে অবস্থিত। বরজগুলোতে পচন রোগ দেখা দিয়েছে। এই রোগ প্রতিরোধে বরজগুলোতে ছত্রাক নাশক অটোস্কীন, ম্যালছার, অক্সিক্লোবাইট ওষুধ স্প্রে করার পরামর্শ দিচ্ছি পান চাষিদের।’