নেত্রকোণা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১নং ওয়ার্ড (দুর্গাপুর উপজেলা) সাধারণ সদস্য পদে মোঃ জুয়েল মিয়া নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় সব প্রার্থীদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে বি.এস.এস(অনার্স)-এম.এস.এস (অর্থনীতি) ও বি.এড, সহকারি শিক্ষক হিসেবে বারমারী উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন। দলবল নির্বিশেষে সকলের কাছে সুপরিচিত, এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক কমকান্ডে দুর্গাপুর উপজেলায় তার অবদান রয়েছে। তাইতো প্রার্থী হিসেবে যোগ্যতাসম্পন্ন হওয়ায় সবার কাছে প্রিয় এবং সর্বদলীয় ভাবে তার উপর সকল নেতাকর্মীদের পুণ্য সমর্থন রয়েছে। দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, আগামী ১৭ অক্টোবর সারা দেশের ন্যায় নেত্রকোণা জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ১নং ওয়ার্ড (দুর্গাপুর উপজেলা) সাধারণ সদস্য পদে পুরুষ দুই জন ও মহিলা দুইজন মিলে চার জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন জুয়েল মিয়া, মোঃ আব্দুল করিম, আনোয়ারা বেগম ও সুরমী আক্তার সুমি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলায় নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা জমে উঠছে। ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন হাঁট বাজার, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের সামনে প্রার্থীদের প্রতিক সম্বলিত ব্যানার পোষ্টারে ছেয়ে গেছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কৌশল বিনিময়, দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করছেন। মেয়র আলাল উদ্দিনের দুই স্ত্রী সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচন না করে সাধারণ সদস্য পদে প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ভোটার এবং সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক কৌতুহল পরিলক্ষিত হচ্ছে। দুজনই দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ আলাউদ্দিনের স্ত্রী। মেয়র আলাউদ্দিন আলাল বেশ কিছুদিন ধরে মারাত্মক শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিল রোগে ভুগছেন। তিনি বর্তমানে ঢাকার শ্যামলীতে অবস্থিত বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অথচ তার দুই স্ত্রী রয়েছেন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত কে বিজয়ের হাঁসি হাঁসবে তা নিয়ে চলছে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা। নির্বাচনে জুয়েল মিয়া লড়ছেন টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে,আব্দুল করিম হাতি প্রতীক নিয়ে, আনোয়ারা বেগম লড়ছেন তালা প্রতিক নিয়ে ,আক্তার সুমি লড়ছেন অটোরিকশা প্রতীক নিয়ে। মোঃ জুয়েল মিয়া টিউবওয়েল প্রতীক, তিনি বলেন আমি নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছি এটা আমার অধিকার কারও ভয়ে পিছিয়ে যাবো না। কেউ যেন এই নির্বাচনে ভোটারদের মাঝে টাকা ছড়া ছড়ি ও ভোট দিলে মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার আশ^াস দেওয়া ও লোভ লালসা দিয়ে ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে না পারে। এই জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।