জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা নাজমা বেগমের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষদের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমি খারিজসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে দিনের পর দিন হয়রানির সাথে গুনতে হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। জানা যায়, উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা নাজমা বেগম বিগত ৩ বছর ডোয়াইল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কাজ করছেন। যোগদানের পর থেকেই নানা অনিয়ম করে আসছেন তিনি। বাড়তি টাকা না দিলে কোনো সেবাই মিলছে না ডোয়াইল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আসা সাধারণ মানুষের। নামা প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, জমির খারিচ করতে সরকারি ফি ১১৭০টাকার বদলে তিনি পাঁচ থেকে ছয়গুণ বাড়িয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন। এছাড়াও নানা ভোগান্তির কথাও তুলে ধরেন তারা। বাড়তি টাকা না দিলে নানা অজুহাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয় কাগজপত্র। কেউ বেশি টাকা দিতে না চাইলে তার সাথে দুর্ব্যবহার করেন এই কর্মকর্তা। ডোয়াইল ইউনিয়ন এর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নাজমা বেগমকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে এক পর্যায়ে তিনি সব অকোপটে স্বীকার করে তিনি বলেন, “ভাই, উপর থেকে টাকা টানে বলেই আমি নেই। আমি কি একা খাই? সবাইকে দিয়ে খাই”। তিনি আরও জানান, উপর থেকে শুরু করে পিউন এবং কি ঝাড়ুদার পর্যন্ত টাকা দিতে হয়। উপরে পাঁচটি ধাপে তাকে হাজার টাকারও বেশি দিয়ে কাজ করাতে হয় বিধায় সাধারণ মানুষদের নিকট থেকে এভাবে অতিরিক্ত অর্থ নিচ্ছেন বলে স্বীকার করেন তিনি। এ বিষয়ে ডোয়াইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপন বলেন , “আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে ওই মহিলার নামে অভিযোগ শুনছি। সাধারণ মানুষের ভোগান্তির বিষয়টি আমি অবগত। আমি এসিল্যান্ডকে এ বিষয়ে অবগত করেছি। কিন্তু কিছুই হয়নি। আমার ডোয়াইল ইউনিয়নে এই একটা বিষয়ে ঝামেলা রয়েছে। এই জায়গায় আমি ব্যর্থ”। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা বলেন, “উপরে টাকা দিয়ে খায় এ বিষয়টি তিনি মিথ্যা বলেছেন। উনি ব্যক্তিগতভাবে বেশি নিতে পারেন, উপরে টাকা দেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা। আমি শুনব কেন তিনি মিথ্যা বলেছেন। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ পেলে অবশ্যই আমি ব্যবস্থা নিব”।