আসন্ন কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডের (হোসেনপুর উপজেলা) সাধারণ সদস্য পদের প্রার্থী মাসুদ আলম এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিগত জেলা পরিষদ নির্বাচনে এ ওয়ার্ড থেকে সদস্য পদে প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। এবারও তিনি টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ভোটারদের নিকট গণসংযোগ ও কুশল বিনিময় করে যাচ্ছেন। গতবার সদস্য নির্বাচিত হয়ে বেতনের পুরো টাকাই মসজিদ, মাদ্রাসা ও জনগণের সেবায় বিলিয়ে দিয়েছিলেন। নিজের পকেটে নেননি এক টাকাও। শুধু বেতনই নয়, নিজের পকেট থেকে প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা খরচ করেছেন অসহায় মানুষদের পেছনে। ভোটারদের দাবি এবারও তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ড (হোসেনপুর) এ বিজয়ী হবেন। আর নির্বাচিত হয়ে এবারও বেতনের পুরো টাকাই তিনি ব্যয় করতে চান জনসেবায়। কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় জনসেবায় তিনি যেন উজ্জল এক নক্ষত্র। একজন সৎ, ধর্মপরায়ন ও শিক্ষানুরাগী মানুষ হিসেবে তিনি নিজ এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেন শাহেদুল উত্তরপাড়া হাজী আব্দুল জব্বার ও ফাতেমা খাতুন হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা, ফাতেমা খাতুন হেফজুল কোরআন ও ফুরকানিয়া মাদ্রাসা।একই সাথে তিনি এস.আর.ডি শামসুউদ্দিন ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের স্থায়ী দাতা সদস্য এবং ডি.এস. দাখিল মাদ্রাসারও স্থায়ী দাতা সদস্য। অসহায় বৃদ্ধার ঘর করে দেয়া, রোগীর চিকিৎসার খরচ দেওয়া, এতিমদের পড়াশোনা ও খাবার এসব তিনি নিয়মিতই করে আসছেন। ২০১৬ সালের জেলা পরিষদ নির্বাচনে হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া থানার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নির্বাচনী এলাকা থেকে তিনি বিপুল ভোটের মাধ্যমে সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর সারা দেশের ১২২০ জন সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ মেম্বার্স এসোসিয়েশন গঠিত হয়। এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক দক্ষতা পর্যালোচনা করে বিভাগীয় সম্মেলনের মাধ্যমে তাকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। জেলা পরিষদের এবারের নির্বাচন নিয়ে তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন,’ছোটবেলা থেকেই নিজেকে সমাজের মানুষের সেবায় নিয়োজিত করার ইচ্ছা ছিলো। সে ইচ্ছা অনুযায়ী আমি সর্বোচ্চ চেস্টা করি। আশা করি ভোটাররা এবারও আমাকে নির্বাচিত করবে। আমি সারা জীবনই মানুষের সেবা করে যেতে চাই।’ তার বড় ভাই ও শাহেদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ উদ্দিন জানান, সে সব সময় মানুষের সেবা করতে চায়। গত নির্বাচনে পাশ করার পর পুরো বেতনই জনসেবায় বিলিয়ে দিয়েছেন। পাশিপাশি প্রতিমাসেই নিজ পকেট থেকে লক্ষাধিক টাকা মানুষের সেবায় খরচ করছেন। আশা করছি এবারও সে বিজয়ী হবে। গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট সাইদুর রহমান বলেন-মাসুদ আলম খুব ভালো মানুষ ও জনদরধী সমাজ সেবক এবারও ভোটারদের মাঝে উনার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রহিয়াছে। জিনারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আজহারুল ইসলাম রুহিদ বলেন-জেলা পরিষদ নির্বাচনে এরকম সাদা মনের মানুষ দরকার এ বার ও মাসুদ আলম টিউবওয়েল প্রতীকে ভালো ভোটের ব্যাবধানে বিজয়ী হবেন বলে আমারা সকল ভোটারা আশা করছি। আড়াইবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ খুরশিদ উদ্দিন বলেন-আবারও জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে মোঃ মাসুদ আলমকে বিজয়ী করবো ইনশাআল্লাহ। উল্লেখ্য, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে আগামী ১৭ অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ওয়ার্ডের ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট ভোটার ৯৪ জন।