সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকয়টি মূল্যসূচক বেড়েছে। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। একই সঙ্গে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে বা কমেছে তার তুলনায় দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে লেনদেন শুরু হয়। এর ফলে শেয়ারবাজার খুলতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত সূচকের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৭৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৩টির। আর ১৯০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৪ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৫৬৯ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৮ পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ৩৬১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১২ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৪৪৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সবকয়টি মূল্যসূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ১৬৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় এক হাজার ২৯০ কোটি ১৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১২০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ১৩৮ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ৭৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৪৪ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সোনালী পেপার। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, ইস্টার্ন হাউজিং, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বিবিএস কেবলস, জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, বিকন ফার্মা এবং শাইনপুকুর সিরামিকস।অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৪৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ২৪৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৫টির এবং ১১২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।