অবৈধ ব্যান্ড রোল বিহীন কমদামি বিড়ি বিক্রি বন্ধ ও রাজস্ব কর্মকর্তাদের ঘুষ গ্রহনের মাধ্যমে কতিপয় বিড়ি ফ্যাক্টরীর মালিকদের ব্যবসার সুযোগ করে দেওয়ার প্রতিবাদে এবং ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবীতে মানববন্ধন করেছে পাবনা জেলা বিড়ি মালিক ও বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন।
গতকাল ঘন্টাব্যাপী পাবনা কাষ্টম এন্ড এক্সাইজ ভ্যাট অফিসের সামনে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পাবনা জেলা বিড়ি ও মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ হারিক হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এসকে বাঙ্গালি ও সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান। সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, এনবিআর এর লোকজন বিভিন্ন বিড়ি ফ্যাক্টরীর মালিকের কাছ থেকে টাকা গ্রহন করে ব্রান্ডরোল বিহিন বিড়ির ব্যবসার সুযোগ করে দিচ্ছে। যেখানে সরকারকে প্রতি প্যাকেট বিড়ির জন্য ৯টাকা কর দিতে হয়, সেখানে এক প্যাকেট বিড়ি ৮ টাকায় কিভাবে বিক্রি হয়। আবার কোন বিড়ি ফ্যাক্টরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেই ওই বিড়ি ফ্যাক্টরীর উপর আগের চেয়ে আরো ৫ হাজার টাকা বেশি ঘুষ ধার্য্য করা হয়। তিনি এনবিআর এর প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমরা আপনাদের দুর্নিতীর খবর দেয়, আর আপনারা ঘুষের পরিমান বাড়িয়ে দেন। তাহলে আমার কি আপনাদের ঘুষের টাকা বাড়ানোর মেশিন। তিনি অবিলম্বে এনবিআর এর সকল দুর্নিতীবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেন। তা না হলে আগামীতে এনবিআর এর প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করার ঘোষনা দেন। তিনি আরো বলেন, যেখানে বিড়ি শিল্প হতে ৩০ হাজার কোটি টাকা কর আদায় হওয়ার কথা সেখানে এ বছরে কর আদায় হয়েছে মাত্র ১০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর এর দুর্নিতিবাজ কর্মকর্তাদের কারনে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, পাবনা জেলা বিড়ি ও মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মোঃ শামীম ইসলাম,সহ সভাপতি আলম হোসেনসহ স্থানীয় ও জাতিয় নেতৃবৃন্দ।