চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ফেনী নদীতে বালু তুলতে গিয়ে প্রতিপক্ষের গুলিতে বারিয়ারহাট পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমের আহত হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল চারটায় বারিয়ারহাট পৌরসভা ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এ বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিলটি পৌরবাজারে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কিছু অংশ প্রদক্ষিণ করে। পরে পৌরসভার পদচারী–সেতুর নিচে মহাসড়কের ওপর বিক্ষোভ সমাবেশ করেন নেতা-কর্মীরা। মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশের সময় মহাসড়কের ঢাকা ও চট্টগ্রামমুখী লেনে যানজট তৈরি হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বারিয়ারহাট পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রতন রাজ, আওয়ামী লীগ নেতা নাছির উদ্দিন, যুবলীগ নেতা শাহরিয়ার সোহেল, ২ নম্বর পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজিজুল হক, যুবলীগ নেতা নাজিম উদ্দিনসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতারা।
সমাবেশে বক্তার বলেন, ফেনী নদীতে পরিকল্পিতভাবে মেয়র রেজাউল করিম ও তাঁর সহকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি এখন হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায়। নদীতে যাঁরা অবৈধভাবে বালু তুলে আসছেন, তাঁরাই এ হামলার সঙ্গে জড়িত। বক্তারা হামলার নিন্দা জানিয়ে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবি জানান।
গতকাল শুক্রবার সকালে মিরসরাইয়ের আজমপুর ইউনিয়নের আজমপুর বাজারের পশ্চিম পাশে ফেনী নদীতে বালু তুলতে গেলে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন বারিয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম ও তাঁর দুই সহকর্মী। হামলায় রেজাউল করিম ও তাঁর সহকর্মী অশোক সেন গুলিবিদ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
হামলার জন্য ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুল হককে দায়ী করছেন মেয়র রেজাউল করিমের লোকজন।
তবে চেয়ারম্যান মজিবুল হক এ হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি, ‘মেয়র রেজাউল করিম আমার ইজারা নেওয়া এলাকায় অবৈধভাবে বালু তুলতে এলে স্থানীয় লোকজন তাঁকে তাড়িয়েছেন বলে শুনেছি।’