মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

স্কোয়াশ চাষে ক্ষতির মুখে কৃষক

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২২

কুড়িগ্রামের ধরলা নদীর বালুময় চরে মরুভূমির ফসল স্কোয়াশ চাষ করে বিপাকে পড়েছেন কৃষক সাইদুল ইসলাম। তিনি সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের আরাজী পলাশ বাড়ি গ্রামের মৃত ইয়াজ উদদীনের ছেলে। শীতকালীন সবজি স্কোয়াশের গাছে পর্যাপ্ত ফুল-ফল দেখা গেলেও ঘন বৃষ্টির কারণে মোজাইক রোগের প্রভাব পড়ে।
ছত্রাক জাতীয় এ রোগে নষ্ট হয়ে যায় স্কোয়াশ ক্ষেত। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে সার ও কীটনাশক কোম্পানির প্রতিনিধিরা পরামর্শ দিলেও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খোঁজ নেই। এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পাশে দাঁড়ায়নি তারা। ফলে হতাশা আর ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাইদুল ইসলাম।
সরেজমিনে জানা যায়, ধরলা নদীর তীরে জেগে ওঠা বালুচরে সবুজের সমারোহ। যতদূর চোখ যায় বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে নানা প্রজাতের সবজির চাষ। করলা, কুমড়া, টমেটোর পাশাপাশি ৪ বিঘা জমিতে স্কোয়াশের আবাদ করেন সাইদুল ইসলাম। এটি বিদেশে চাষাবাদ হলেও বাংলাদেশে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। অনেকে স্কোয়াশ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। কয়েকটি জেলায় স্কোয়াশ চাষের সফলতা দেখে তিনি উদ্যোগ নেন। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে স্কোয়াশ চাষে ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
স্কোয়াশ চাষি সাইদুল ইসলাম জানান, চাকরির পেছনে না ছুটে কৃষিতে ঝুঁকে পড়েন তিনি। প্রচলিত সবজি ও ফসলের পাশাপাশি স্কোয়াশ চাষ শুরু করেন। অন্য সবজির পাশাপাশি ৪ বিঘা জমিতে স্কোয়াশ চাষ শুরু করেন। সব মিলিয়ে বিঘাপ্রতি ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলনও ভালো ছিল। তবে ঘন বৃষ্টির কারণে গাছ ও পাতা হলুদ হয়ে যায়। স্কোয়াশের মাথায় পচন ধরা শুরু হয়। কয়েকদিনে জমির স্কোয়াশ নষ্ট হয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘অনেক আশা নিয়ে স্কোয়াশ চাষ করেছি। গাছে ফলন ভালো হচ্ছে দেখে ভেবেছিলাম লাভবান হবো। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ক্ষেতটি নষ্ট হয়ে আমার অনেক ক্ষতি হলো। এ ক্ষতি কীভাবে কাটিয়ে উঠবো জানি না। এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা পাইনি। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে কোনো পরামর্শ পাইনি।’
একই গ্রামের কৃষক মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘এখানে প্রথম স্কোয়াশ চাষ শুরু করেন সাইদুল। সামনের বছর আমিও স্কোয়াশ চাষ শুরু করতাম। হঠাৎ জানলাম সাইদুলের স্কোয়াশ ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। ফসল তোলার সময় কী কারণে গাছে পচন ধরতে শুরু করেছে বুঝতে পারলাম না। কৃষি বিভাগ যদি সাইদুলের পাশে থাকতো, তাহলে ক্ষতির মুখে পড়তো না।’
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, ‘স্কোয়াশ একটি বিদেশি সবজির জাত।আমাদের দেশে এখন স্কোয়াশ চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন। স্কোয়াশ চাষে নিবিড় পরিচর্যা করলে ভালো ফলন হয়। তবে সাইদুল ইসলামের ক্ষতির বিষয়টা আমার জানা নেই। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। খোঁজ নিয়ে বলতে পারব।’




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com