নাম সাদিয়া আয়মান হলেও তাকে ‘বেলী ফুল’ হিসেবে সম্বোধন করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন অনেকে। গেল ঈদে ‘ফুলের নামে নাম’ শিরোনামে একটি নাটকে অভিনয় করে রীতিমত বাজিমাত করেন এ তরুণী। সেখানে তার নাম বেলী হওয়ায় সবাই তাকে এ নামেই ডাকতে যেন বেশি ভালোবাসেন। সাড়ে তিন বছরের ক্যারিয়ার হলেও এ নাটকটি তার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে উঠে। এরপর থেকে ক্রমান্বয়ে তার ব্যস্ততা বাড়তে থাকে।
সেই ব্যস্ততা এত বেশি যে একটু অবসর বা বিশ্রাম নেওয়ার ফুরসত পাচ্ছেন না এ অভিনেত্রী। এরপর কয়েকটি নাটকের শুটিং শেষ করেন। তারপর অংশ নেন একটি ওয়েব ফিল্মে, যেখানে তিনি জুটি বেঁধেছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্বর সঙ্গে। শিহাব শাহীন পরিচালিত এ ফিল্মের নাম ‘মায়া শালিক’। টানা শুটিংয়ের মধ্য দিয়ে কাজ শেষ করার পর ভেবেছিলেন একটু বিশ্রাম নেবেন কিন্তু সেটা আর হয়ে উঠেনি। নতুন কাজের কমিটমেন্ট থাকায় আবারও নামেন শুটিংয়ে।
শুক্রবার থেকে অংশ নেন আরও একটি ওয়েবে। নতুন এই ওয়েব সিরিজের নাম চূড়ান্ত না হলেও টানা বেশ কয়েকদিন এর কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন তিনি। এটি পরিচালনা করছেন রুবায়েত মাহমুদ। এটি শেষ করার পর আবার অংশ নেবেন দুটি নাটকের শুটিংয়ে। সেদিক থেকে তার এখন দম ফেলার ফুরসত নেই বললেই চলে।
সাদিয়া আয়মান বলেন, ‘সত্যি বলতে ‘ফুলের নামে নাম’ কাজটি আমাকে নতুন করে চিনিয়েছে। দর্শকদের কাছাকাছি পৌঁছাতে সাহায্য করেছে। এরপর অনেক অনেক কাজের প্রস্তাব পাচ্ছি। মানের সঙ্গে আমি কোন আপোষ করতে চাই না। তাই ভালো গল্প এবং চরিত্র হলে শুধু সেগুলোর দিকেই মনযোগ দিচ্ছি। কারণ, এত অল্প সময়ে দর্শকদের যে ভালোবাসা পেয়েছি, মানহীন কাজ করে দর্শকদেরকে হতাশ করতে চাই না। কাজ কম হোক কিন্তু সেটা যেন ভালো হয়। এই বিষয়টাই মাথায় রাখছি সবসময়।’
ব্যস্ততা প্রসঙ্গে ‘ফুলের নামে নাম’ খ্যাত এ তারকা বলেন, ‘টানা অনেকদিন ধরে শুধু শুটের মধ্যেই আছি। মায়া শালিকের কাজ শেষ করলাম, এরমধ্যেই ওয়েবের কিছু কাজ নিয়ে কথা চলছিলো। সবকিছু ব্যাটে-বলে মিলে যাওয়ায় আরেকটা ওয়েবের সঙ্গে যুক্ত হলাম। এরমধ্যে আবার ‘কাজলরেখা’ সিনেমার শুটিংটাও শেষ করতে হলো। যদিও ওয়েবের কাজটা আরও পরে করার কথা ছিলো কিন্তু শিডিউল ক্র্যাশ করবে দেখে এখন করে ফেলতে হচ্ছে, আর পরিচালকও চাচ্ছিলেন। আমার ইচ্ছা ছিলো মায়া শালিকের কাজ শেষ করে একটু বিরতি নিব কিছুদিনের, বাড়িতে যাব। কিন্তু এখন আর সে সময়টা হচ্ছে না। এরমধ্যে আরও কিছু কাজের কথা চলছে। ওয়েবের কাজটা শেষ করে দুটো নাটকের শুটিং করতে হবে।
তবে আমি সময়টা বেশ উপভোগ করছি। আমি যে টিমগুলোর সঙ্গে কাজ করেছি বা করছি প্রত্যেক জায়গাতে আমি অনেক বেশি কমফোর্ট জোন পেয়েছি যার কারণে বিরক্তি বোধ করিনি। প্রত্যেকের কাছ থেকেই অনেক কিছু শিখছি। আমি একদমই নতুন বলা যায়। আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ এফোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করছি। দর্শকদের কাছ থেকে যে ভালোবাসাটা পাচ্ছি সেটার মূল্যায়ন যেন করতে পারি, তাই প্রতিটা কাজেই আমি বেশ সচেতন থাকি।’-বাংলাদেশ জার্নাল