শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে কৃষক ইমাম হোসেন ওরফে ফেকাসু(৪৮)কে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। আসামিরা নিহতের পরিবারকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে নিহতের পরিবার। ২১ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে ভুক্তভোগীদের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন নিহতের স্ত্রী কমেলা বেগম ও মেয়ে।
এ সময় নিহতের মেয়ে, ভাই, বোনসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ফেকাসুর স্ত্রী ও কন্যারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। সংবাদ সম্মেলনে কমেলা বেগম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, গত ৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার কাংশা বাজারের পাশে একটি ধান ক্ষেতে প্রতিপক্ষরা কুপিয়ে আমার স্বামীকে হত্যা করে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আমার স্বামীর সঙ্গে জমিজমা নিয়ে এলাকার জব্বার, সুমন, রাজ্জাকসহ কয়েকজনের মামলা-মোকদ্দমা ও বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে ঘটনারদিন বিকেলে আমার স্বামী কাংশা বাজারে এলে প্রতিপক্ষের ১০-১২ জন লোক তাকে ধাওয়া করেন। এসময় তিনি বাজারের পাশে একটি ধান ক্ষেত দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে তারা সেখানে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপূর্যপুরি কুপিয়ে তাকে হত্যা করে। ঘটনার পরপরই তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। কমেলা বেগম আরও বলেন, ২৪ জন আসামির মধ্যে মাত্র ৮ জন গ্রেপ্তার হলেও প্রধান আসামিসহ বাকি আসামিদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। এছাড়া স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমানও তাদের কোন সহযোগিতা করছেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল আলম ভূইয়া শুক্রবার বিকেলে বলেন, ইমাম হোসেন হত্যাকা-ে জড়িত আট আসামিকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান আসামিসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে মামলার চার আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত আছেন। মামলার বাদী ও নিহতের স্বজনদের সঙ্গে পুলিশ সবসময় যোগাযোগ রাখছে। ফলে তাঁদের নিরাপত্তাহীনতার কোন কারণ নেই বলে ওসি জানান।