মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

বগুড়ার শিবগঞ্জের চাষিরা কলা চাষে ঝুঁকছেন

বাসস:
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২২

কলা রুয়ে না কাটো পাত , তাতেই কাপাড় তাতেই ভাত। কলার গাছ রোপণের পার পাতা না কাটলে ভলো ফলন পাওয়া যাবে। তাতে ভাত-কাপড়ের অভাব হবে না। শিবগঞ্জ উপজেলার চন্ডিহারা গ্রামের আবুল মুনছুর জানান , তিনি খনার এ বচন মাথায় রেখে কলার পাতা না কেটে ফলন পেয়েছেন ভালো । কলার উৎপাদন ও ভালো দাম পেয়ে খুশি তার মতো অনেক কৃষক। তাদের অনেকে কলা চাষকরে পাকা বাড়ি েেকছন, অনেকে ছেলে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার স্বপ্নে বিভোর। কলায় লাভ বেশি হওয়ায় শিবগঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন অ লে চাষিরা কলা চাষে ঝুঁকছেন । কাক ডাকা ভোরে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার চন্ডিহারায় রংপুর- বগুড়া মহাসড়কের কলার হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের কেনা-বেচায় মুখরিত হয়ে ওঠে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাকডাকও বেড়ে যায়। সকাল থেকে কলার হাটে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যাপারীরা আসে হাটে । আবার অনেকে কলাচাষিদের বাড়িতে রাতে অবস্থান নেয়। যাতে কাক ডাকা ভোরে কিনে নিয়ে গন্তব্যে পৈাঁছতে পারে।
কেন জায়গাটি নাম চন্ডি হারা হলো কেই বলতে পারেনা। তবে নাম যাই হোক শিবগঞ্জ উপজেলা বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে খুব কমখরচে কলার আবাদ হয়ে থকে। আর সেই কলার হাট বসে চন্ডিহারার রাস্তার পশে দেড় থেকে ২ কিলোমিটার জুড়ে। ভোরে কলা চাষিরা রিকশা ভ্যান ভোঝ্ইা করে কলা নিয়ে আসে চন্ডিহারা হাটে। প্রতি বুধবার ও শনিবার এ
চন্ডিহারায় বসে কলার হাট। কলা চাষি আকরাম জানান ,হাট বারে এখানে কুষ্টিয়া, যশোর, জয়পুরহাট, ঢাকা, পাবনাসহ বিভিন্ন জেলার ব্যাপরীরা আসে। প্রতি হাট বারে প্রায় ২০ ট্রাক কলা বিক্রি হয়ে হাটে। সাগার কলা, রঙিন সাগর, স্থানীয় ভাষায় অনুপম, এঁটে , চাঁপাকলাপ্রচুর সমাহার হাটে। জেলার কাহালু উপজেলার কলার ব্যাপরী আনছার হোসেন জানান ,তিনি প্রায় ৩০ বছর এ হাট থেকে কলা কিনে নিয়ে বিক্রি তার এলাকায় পইকারীতে বিক্রি করে থাকেন।তাতে বেশ ভালো দাম পেয়ে থাকেন। জেলার অনেক জাযগায় কেজিতে আবার হালিতেখুচরা বিক্রি হয়ে থাকে।
চাঁপা কলা এক কাঁদি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। এক কাঁদিতে প্রায় দেড়শত থেকে ২০০ কলা থাকে। খুচরা বাজারে এ কলা ১৫ থেকে ২০ টাকা হালি(৪ টা) আবার ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়ে থাকে। সাগার ও রঙিন সাগার কলা দামও প্রায় একই রকম। তবে কৃষক সপরী কলার দামভালো পেয়ে থাকেন।
জেলা কৃষি সম্প্র্্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান,জেলায় এবার ৬০০ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা সম্পূর্ণ পূরণ হয়েছে। এ উৎপাদন সারা বছর চলমান থাকে।
শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার আল মুজাহিদ জানান, এ হাট থেকে ২০ ট্রাক কলা বিক্রি হয়ে থাকে। প্রতিট্রাকে ১৫ থেকে ২০ ট্রাক কলা হাট বারে বিক্রি হয়ে থাকে। ট্রাক প্রতি ১০ থেকে ১২ টন কলাবহন করতে পারে। এতে প্রতিহাট বারে ১৫০ টন থেকে পৌনে ২০০ টন বিক্রি হয় এ হাট থেকে। তবে ভালা দাম পেয়ে চাষি ও ব্যাপরীরা খুশি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com