অসময়ে সুসাদু ফল তরমুজ চাষ করে অধিক লাভবান হচ্ছেন জয়পুরহাট জেলা প্রত্যন্ত অ লের কৃষকরা। সে কারনে তরমুজ চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে জেলার প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে।
সরেজমিন পাঁচবিবি উপজেলার জয়দেবপুরের দামুদরপুর গ্রামের তরমুজ চাষি দিনবন্ধুর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিজের ৩৩ শতাংশ জমিতে এবার প্রথম তরমুজ চাষ করেছেন। আগস্ট মাসের ৮ তারিখে চারা রোপণ করে মাত্র আড়াই মাসের মাথায় তরমুজ বিক্রি শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৮৪ হাজার ৪শ টাকার ৬৫ মণ তরমুজ বিক্রি হয়েছে। পরিবেশ বান্ধব মালচিং পেপার ব্যবহার প্রদর্শনীর আওতায় এ তরমুজ চাষে কারিগরি সহযোগিতা করছে স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাকস ফাউন্ডেশন। এ সময়ে অন্য ফল কম থাকায় বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা । তরমুজ চাষি দিনবন্ধু জানান, ৩৩ শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষে ব্যয় হয়েছে ৪১ হাজার ৫০০ টাকা। এ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৮৪ হাজার ৪০০ টাকা। আরও ২০ হাজার টাকার তরমুজ জমিতে রয়েছে । বর্তমান বাজারে ছোট গুলো ৮শ টাকা, মাঝারি গুলো এক হাজার ৫শ টাকা ও বড় সাইজের তরমুজ এক হাজার ৯০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, অসময়ে তরমুজ চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন। জেলায় প্রথমে ৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হলেও বর্তমানে ৩শ হেক্টর জমিতে ওই তরমুজের চাষ হচ্ছে বলে জানান তিনি।