ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তা-বে বিচ্ছিন্ন হওয়া ব্যস্ততম সড়কের কাজ শুরু হয়নি এখনো। সেসুবাদে সড়কের ড্রাইভারেরা সিন্ডিকেট জনপ্রতি ৫০ টাকার স্থলে ৭০ টাকা নেয়ার অভিযোগ যাত্রীদের। এতে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছে ছোট্ট দ্বীপ মাতারবাড়ী-ধলঘাটার বৃহত্তর দু’ইউনিয়নের জনসাধারণসহ মেগা প্রকল্পে কর্মরত দেশি-বিদেশি সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বৃদ্ধ পুরুষ-মহিলাসহ মুর্মুর্ষ রোগিরাও। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত ২৫ অক্টোবর রাতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রকোপে বঙ্গোপসাগরের সাগরের পানি প্লাবিত হয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে কালারমারছড়া চালিয়া টু মাতারবাড়ী সংযোগ সড়ক দ্বারাদিয়া খালের উত্তরে প্রায় ৩-৪ চেইন ব্যবধানে যাতায়তে একমাত্র সড়কটি চলমান কাজের একাধিক ডাইবেশন ভেংগে সম্পন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যান চলাচলর বন্ধ। এমনকি গেল কয়েকদিন ভাংগা অংশটি ইঞ্জিনের নৌকা দিয়ে যাত্রী পারাপার করলেও সম্প্রতি পায়ে হেঁটে পারাপার করা যায়। তবে জোয়ারের সময় পানির স্রোতে যাত্রীরা অসুবিধায় পড়ে। এতে চরম দূর্ভোগে প্রকল্পের কর্মরত সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ দু’ইউনিয়নের প্রায় দেড় লক্ষাধিক জনসাধারণ। তবে সড়কটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে ভাংগার দু’পাশের অস্থায়ী স্টেশনের লাইনম্যান ও যান চালকের যোগসাজসে ৫০ টাকা ভাড়ার স্থলে বদরখালী টু ভাঙ্গা ৪০টাকা এবং ভাঙ্গা টু মাতারবাড়ী নতুন বাজার স্টেশন ৩০টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। খানাখন্দে সড়ক সংস্কারতো দূরের কথা! অন্ততঃ বিচ্ছিন্ন ডাইবেশন সংস্কার করে পূর্বের ন্যায় যান চলাচলের উপযোগী করে তুলতে দাবী তোলেন এতদাঞ্চলের সুশীল সমাজ। সড়কের বেহাল দশা এবং দূর্ভোগে বর্নণা দিয়ে অনেকে সোস্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। স্থানীয় মোহাম্মদ হোছাইন নামক এক পথচারীও এফবিতে মনের ভাব প্রকাশ করেন। প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান, সড়কের ভাঙ্গা অংশটিতে সাথে থাকা জিনিসপত্র মাথায় করে পারাপার করছেন। সচেতনমহলের ভাষ্য এহেন অবস্থায় মাতারবাড়ী-ধলঘাটায় চলমান প্রকল্পে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাবও পড়তে পারে! তারা আরো জানান, আমরা সরকারের প্রয়োজন মুহুর্তে উন্নয়নের স্বার্থে চাষবাদের জায়গাজমি দিয়েছি। তবে আমরা পায়নি যাতায়তে একমাত্র সড়কটি। জেলা পরিষদের সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও মহিলা আ’লীগ নেতৃ মশরফা জান্নাত খবরপত্রকে জানান, সিত্রাংয়ের প্রকোপে সড়কটি বিচ্ছিন্ন হয়ে ভাঙ্গার দু’পাশে স্টেশন। তারা সিন্ডিকেট প্রায় ৭-৮কিঃ দুরত্ব ৫০ টাকার স্থলে ৭০ টাকা ভাড়া আদায় করা অতিরিক্ত এবং অন্যায়। পাশাপাশি ঠিকাদারের প্রতিও সড়কটি দ্রুত সংস্কারের অনুরোধ করেন। মাতারবাড়ি ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি জিএম ছমি উদ্দীন বলেন, “জনসাধারণের সুবিধার্থে সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা অতিবঃ প্রয়োজন। তিনি ঠিকাদারের নিকটও অনুরোধ করেন এবং গাড়ী ভাড়ার বিষয়টি লাইন পরিচালক কে অবগত করা হয়েছে। লাইন পরিচালক অতিরিক্ত ভাড়া অস্বীকার করেন এবং তিনি নিজে উপস্থিত হয়ে পূর্বের ন্যায় ভাড়া বহাল থাকবেন বলেও সভাপতিকে আশ্বস্ত করেন।