বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এখন আর কোনো নির্বাচন নির্বাচন খেলা হবে না। আওয়ামী লীগ সরকারকে সব জায়গা থেকে পদত্যাগ করতে হবে। আপনাদের সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। অন্তঃবর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়কের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন হবে; সেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আন্দোলন করতে হবে দেশের জনগণের স্বার্থে। দুর্বার সেই আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পরাস্থ করতে হবে। গতকাল বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুরে শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘সরকার বুঝে গেছে যে এদেশের জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। তারা ভয় পেয়েছে তাই হুমকি দিচ্ছে। সভা-সমাবেশ করার সাংবিধানিক অধিকার রুদ্ধ করতে চাচ্ছে। এজন্য যত রকমের হীন কৌশল আছে সেগুলো তারা অবলম্বন করছে। ফখরুল বলেন, সরকার দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। চুরি, দুর্নীতির কারণে এসব হয়েছে। খাদ্য শস্য আমদানি কমে গেছে। আমদানি করার জন্য যে পরিমাণ ডলার দরকার সেই পরিমাণ ডলার নেই। এই সংকটের জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ সরকার। বগুড়া জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বগুড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র অ্যাডভোকে একেএমে মাহবুবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন ও বগুড়া সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে দুপুর ২টা থেকে বগুড়া জেলা বিএনপির নেতৃত্ব নির্বাচন শুরু হয়। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদকের ৩টি পদে ভোট গ্রহণ চলছে। নির্বাচনে দলের ২ হাজার ২২২জন কাউন্সিলর ভোট প্রদান করবেন।