মুখভর্তি দাড়ি তাঁর। মাটি ছুঁই ছুঁই। সে দাড়ির দৈর্ঘ্য তিন ফুট চার ইঞ্চি যা প্রায় আড়াই হাত। সাড়ে পাঁচ ফুট উচ্চতার খাইরুলের এই লম্বা দাড়ি এর মধ্যে তাঁকে বিশেষ পরিচিতি এনে দিয়েছে। এই দাড়ির জন্য ৪৯ বছরের মানুষটিকে ধামইরহাট উপজেলার প্রায় সবাই চেনে। সব সময় হাসিখুশি থাকেন বলে লোকজন খাইরুল ইসলামকে বেশ পছন্দও করে। লম্বা দাড়ির জন্য স্থানীয় লোকজন তাকে লাদেন ভাই বলে ডাকে। নওগাঁ জেলার ধামইরহাট পৌরসভার জয়জয়পুর গ্রামে খাইরুলের বাড়ি। তার বাবা মৃতঃ আব্দুল করিম মন্ডল। ধামইরহাট পৌরসভার পূর্ব বাজারের একটি চায়ের দোকানে খাইরুলের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, হাদিস গ্রন্থ আবু দাউদ শরীফে পেয়েছেন দাড়ি ছেড়ে দাও, গোঁফ ছোট কর। এ কথার প্রেক্ষিতে তিনি দাড়ি না ছেঁটে যত্ন করতে থাকেন। খাইরুল জানান, নিয়মিত তিনি দাড়ির যত্ন করেন। প্রতিদিন চিরুনি দিয়ে দাড়ি আঁচড়ান, তেল দেন। সহজে শুকানো যায় না বলে সপ্তাহে এক দিন শ্যাম্পু দিয়ে দাড়ি পরিষ্কার করেন। দাড়ির যত্নে স্ত্রী উম্মে মুক্তা খুব সহায়তা করেন বলে জানান খাইরুল। আমৃত্যু এই দাড়ি রাখার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। খাইরুল বলেন, ১৯৮৯ সালে ধামইরহাট উপজেলার চকমৈরাম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তিনি এসএসসি পাস করেছেন। ধামইরহাট পৌরসভার পূর্ব বাজারে আশা ইলেকট্রনিক নামে একটি দোকান আছে তার। খাইরুলের আড়াই ফুট বা চল্লিশ ইঞ্চির দাড়ি জট পাকানোও নয়। লম্বা, সোজা ও পরিচ্ছন্ন। রাস্তায় চলাচলের সময় ধুলাবালু থেকে রক্ষা পেতে বুকের ভেতর ভাজ করে তিনি কাপড়ের নিচে রেখে চলাচল করেন। যে এলাকায় যান, সেখানের লোকজনই তাঁর সঙ্গে ছবি তুলতে আসেন। কেউ কেউ নকল দাড়ি ভেবে তা স্পর্শ করে যাচাই করতে চান। যখন দেখেন যে আসল, তখন তাঁরা অবাক হয়ে যান। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। ধামইরহাট সফিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান বলেন, খাইরুল ইসলাম নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। আমার জানা মতে ধর্মীয় চিন্তা থেকেই তিনি দাড়ি না কেটে রেখে দিয়েছেন।