বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে। মূলত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার উদ্বেগ ও চীনে করোনাভাইরাসের প্রকোপ আবার বাড়ায় তেলের বাজারে পতন দেখা যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে দেখা গেছে, ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮৪ সেন্ট বা শূন্য ৯ শতাংশ কমে ৯৭ দশমিক শূন্য ৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ব্যারেলপ্রতি ৯৬ সেন্ট অথবা এক শতাংশ কমে ৯০ দশমিক ৮৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর আগে সোমবার দুই বেঞ্চমার্কেরই দাম বেড়ে আগস্টের পর সর্বোচ্চ হয়। চীনে করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার যখন পরিকল্পনা চলে তখনই তেলের বাজারে এমন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গিয়েছিল। তবে গতকাল মঙ্গলবারের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চীনের গুয়াংজুতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। সিএমসি মার্কেট বিশ্লেষক টিনা টেং ড বলেন, বাজারে অংশগ্রহণকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতির দিকেও নজর রাখছে। একদিকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো অন্যদিকে তেলের দামের উত্থান-পতন। এতে বিশ্বজুড়ে মন্দার ঝুঁকি বাড়ছে। এদিকে চলতি বছরের ডিসেম্বরেই রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউক্রেনে হামলার প্রতিশোধ নিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। তবে মস্কোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। রাশিয়াও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে নর্ডস্ট্রিম-১ দিয়ে ইউরোপে জ্বালানি রপ্তানি প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। এতে ইউরোপজুড়ে তীব্র জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। লাফিয়ে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। এতে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় অসহনীয়ভাবে বেড়ে গেছে।