মোছাঃ মাইসা আকতার। বয়স ২ বছর ৬ মাস। বাপ মায়ের কোল আলোকিত করে পৃথিবীতে আগমনের পর আনন্দে দিন অতিবাহিত করছিল মাইসার দিন মজুর পিতামাতা। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস? সাত মাস বয়সে দেখা দেয় বিভিন্ন অসুখ। পেট অস্বাভাবিক ভাবে বাড়তে থাকে। গ্রামবাসীর সহযোগিতায় পল্লী চিকিৎসকের চিকিৎসা নেওয়া হয়। এতে আরোগ্য না হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেন। ডাক্তার পরীক্ষা করে বলে কিডনী, ফুসফুসের সমস্যা। এই সমস্যার কারণে দুচোখে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এখন তার উন্নত চিকিৎসার জন্য মোটা অংকের টাকার প্রয়োজন। যা দিন মজুর পিতা মাতার পক্ষে চোখের পানি ছাড়া কিছু করা সম্ভব নয়। তাই আপনার একটু সহযোগিতায় বাঁচতে পারে মাইসার নিঃস্পাপ প্রাণ। সরেজমিনে জানা যায়- গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চিকনী গ্রামের মোঃ মশিউর রহমান ও মোছাঃ মোর্শেদা বেগমের কন্যা মাইসা আকতার। সন্তানের দুঃচিন্তায় নির্ঘুম দিনমজুর পিতামাতা। স্থানীয়রা জানান-চিকনী গ্রামের বাসিন্দা মশিউর। পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোনমতো জীবিকা নির্বাহ তার। দাম্পত্য জীবনে একমাত্র কন্যা মাইসা। এই শিশুকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন। শৈশবের আনন্দে বেড়ে ওঠা মাইসার বয়স যখন সাত মাস, তখন হঠাৎ করে পেটের সমস্যা হয়। এরপর ধীরে ধীরে পেট অস্বাভাবিক ভাবে বাড়তে থাকে ও চোখের সমস্যা হয়। সন্তানকে সুস্থ করতে বিভিন্ন চিকিৎসাসেবা নেওয়া হয়। এতে ব্যয় হয়ে লক্ষাধিক টাকা। নিজের গরু-ছাগল বিক্রি করাসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থার ঋণ নিয়ে চিকিৎসা চালানো হয়। বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তয় তলা ১০ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সুচিকিৎসার জন্য মোটা অংকের টাকার প্রয়োজন। এসব তথ্য নিশ্চিত করে অসুস্থ শিশুর পিতা মশিউর কান্নাজড়িতে কন্ঠে বলেন-যা কামাই করি তা দিয়ে সংসার চলেনা। খেয়ে নাখেয়ে জীবন পার করছি। মেয়ের চিকিৎসা করি কেমনে? অভাব-অনটনের সংসার। দিন এনে দিন খাওয়া। এতে আবার মেয়ের কঠিন অসুখ।দায়দেনা করে ভরেগেছে। এখন কি করম ভেবে পাচ্ছি না কথা গুলো বলেই হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন অসুস্থ মাইসার মা। তিনি আরও বলেন, আমার একমাত্র অবুঝ মেয়ের দিকে তাকালে চোখের পানি আটকাতে পারি না। এখন মেডিকেলে ভর্তি রয়েছে। ডাক্তার বলেছে ৫ লাখ টাকা লাগবে। সবাই যদি মানবিক সহায়তা করতেন, তাহলে হয়তো সন্তানকে সুস্থতা করা সম্ভব। সহযোগিতা করতে বিকাশঃ ০১৭২২-৩৭৭২৫৩ নম্বরে আবেদন জানান অসহায় পরিবার।