বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘ঢাকার সমাবেশ ১০ তারিখ নয়াপল্টনেই হবে। এখানে বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই। প্রশাসনকে বলবো- জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না।’
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে হালিশহর নয়াবাজারের গ্র্যান্ড একটি কনভেনশন হলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিকদলের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আমির খসরু বলেন, ‘বর্তমানে এক শতাংশ লোক দেশকে নিয়ন্ত্রণ করছে। রাজনীতিতে রাজনীতিবিদদের কোনও ভূমিকা নেই। ভূমিকা আছে লুটেরাদের। কিছু উচ্ছিষ্টভোজী বুদ্ধিজীবী তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে, এই সরকারকে উৎখাত করতে হবে। এ ছাড়া আর কোনও পথ নেই। আগামীতে বিএনপির নেতৃত্বে জাতীয় সরকার কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে। নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, বিএনপি সরকার হবে শ্রমিকনির্ভর সব পেশার মানুষের। ২০৩০ সালের মধ্যে কল্যাণকর রাষ্ট্র করার জন্য যা যা করা দরকার সব পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ চিকিৎসা সেবায় সবচেয়ে বেশি টাকা ব্যয় করে। আফগানিস্তানের চেয়ে বেশি টাকা চিকিৎসায় খরচ করে। মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে ২৫ শতাংশ টাকা সাশ্রয় হবে। আগামীতে বিএনপির নেতৃত্বে জাতীয় সরকার হলে সবার জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি ছাড়াও যারা বেকার থাকবে তাদের জন্য বেকার ভাতাও দেওয়া হবে।’
সভায় প্রধান বক্তা বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও শ্রমিক নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, ‘সভ্যতা বিনির্মাণের কারিগর হচ্ছে শ্রমিক শ্রেণির মানুষেরা। বর্তমান সরকারের দুঃশাসনে অবহেলিত শ্রমিক সমাজ। এই শ্রমজীবী মানুষদের অমর্যাদা অবমূল্যায়ন করে কোনও দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। ৯০ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শ্রমিক সমাজের ভূমিকা আন্দোলনকে সফল করেছিল। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে শ্রমিকদেরকে কঠিন আন্দোলনে শরিক হতে হবে।’
চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও রেলওয়ে শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক এম আর মঞ্জুরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শ ম জামাল উদ্দিন, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইদ্রিস মিয়া প্রমুখ।