বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০২:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
তীব্র গরমে কালীগঞ্জে বেঁকে গেছে রেললাইন, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক মেলান্দহ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী দিদার পাশা জনপ্রিয়তায় এগিয়ে শ্রীপুর পৌরসভার উদ্যোগে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণে কর্মশালা রায়পুরায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা ঘোষণা আলী আহমেদের কমলগঞ্জের মিরতিংগা চা বাগানে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সভা অব্যাহত পলাশবাড়ীতে প্রচন্ড গরমে ঢোল ভাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে তরমুজ বিতরণ জুড়ীতে টিলাবাড়ি ক্রয় করে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ আনারসের পাতার আঁশ থেকে সিল্ক কাপড় তৈরির শিল্পকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে-সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি রাউজানে পথচারীদের মাঝে যুবলীগের ফলমূল ও ছাতা বিতরণ

যশোরে আমন ধানে চিটা, দিশেহারা কৃষক

এম আইউব, যশোর:
  • আপডেট সময় শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২২

চলতি বছর যশোরের বাঘারপাড়ায় উঠতি আমন ধানে অতিরিক্ত চিটা হয়েছে। ফলে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন উপজেলার কয়েক শতাধিক কৃষক। চিটা বেশি হওয়ায় এ বছর উৎপাদন খরচ উঠবে না বলে জানিয়েছেন চাষিরা। চাষিদের অভিযোগ, সময়মতো সার না পাওয়া এবং কৃষি অফিসের পরামর্শ না পাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, বাঘারপাড়া উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ব্রি-৫১, ব্রি-৪৯, ব্রি-৮৭, ব্রি-৭৫, বিনা-১৭, হাবু, গুটি স্বর্ণা, হাইব্রিড ও ধানি গোল্ড জাতের ধান চাষ হয়েছে। এখানকার চাষিদের অভিযোগ, আমন ধান চাষের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি ছিল না। একইসাথে সারেরও সঙ্কটও ছিল।
শেখেরবাতান গ্রামের চাষি আমজাদ আলী জানান, জমি তৈরি থেকে শুরু করে ধান কেটে ঘরে তোলা পর্যন্ত যা খরচ হয়েছে তার অর্ধেক টাকার ধান বিক্রি হবে বলে মনে হয় না। এ বছর তিনি তিন বিঘা জমিতে ধান চাষ করেন। সার, পানি, শ্রমিক মিলিয়ে ১৬ থেকে ১৭ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি বিঘায় ১৫ থেকে ১৬ মণ ধান হয়েছে। মাড়াই শেষে হিসাব করে দেখা গেছে বিঘাপ্রতি চার থেকে পাঁচ হাজার টাকার ক্ষতি হচ্ছে।
রামনগর গ্রামের চাষি ইউনুছ আলী বলেন, ১২০ শতক জমিতে ব্রি-৪৯ জাতের ধান লাগান তিনি। মাড়াই করে সর্বমোট ৫২ মণ ধান পেয়েছেন। ধানে অতিরিক্ত চিটা হওয়ায় ফলন কমে গেছে। গত আমন মৌসুমে একই জমিতে ৭৫ মণ ধান হয়েছিল। পাইকপাড়া গ্রামের চাষি আখতারুজ্জামান জানান, এক বিঘা জমিত হাবু জাতের ধান লাগান তিনি। তাতে ফলন হয়েছে ২০ মণ ২০ কেজি। আবাদে খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকার মতো। ধানে চিটা বেশি হওয়ায় লাভ তো দূরে থাক, খরচও উঠছে না।
তিনি আরো বলেন, আমন মৌসুমে উপজেলার কোনো কৃষি কর্মকর্তাকে মাঠে পাননি। সময়মতো দিতে পারেননি সারও। উপজেলার ছাতিয়ানতলা বাজারের সার বিক্রেতা আহাদ আলী বলেন, বাজারে সারের কোনো সঙ্কট ছিল না। অনাবৃষ্টির কারণে এবছর একটু বেশি চিটা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমীন সাংবাদিকদের বলেন, এবার আমনের ফলন ভালো। ধানে চিটা হয়েছে এমন অভিযোগ পাইনি বলেও দাবি করেন তিনি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com