মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

বিএনপি এমপিদের পদত্যাগের গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন: ইসি আলমগীর

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২২

বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে শূন্য আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। রোববার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, স্পিকার বা তার অনুপস্থিতিতে যদি ডেপুটি স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র দেন, তখন গেজেট হবে। গেজেট হলে তারপর আমাদের কাজ শুরু হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত গেজেট না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কাজ শুরু করার সুযোগ নেই। কোনো মাননীয় সংসদ সদস্য পদত্যাগ করলে নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে- এটাই ইসির দায়িত্ব। উপ-নির্বাচন হলে কয়েকমাসের মধ্যেই আবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন, এ বিষয়টি সামনে আনলে এই কমিশনার বলেন, এটা তো সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। আসন শূন্য হওয়ার নব্বই দিনের মধ্যে করতেই হবে। নব্বই দিন তো আর যাবে না। গেজেট পাওয়ার পর দেখা যাবে যে দুই মাস লাগতে পারে, দেড় মাসও লাগতে পারে।
সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, ভোট তো ইভিএমেই হবে। কিন্তু সিসি ক্যামেরার প্রয়োজন হবে কিনা, সেটা নির্ভর করবে সেটা কতটা ভালনারেবল। নির্বাচন করতেই হবে। কারণ আসন শূন্য রাখার তো কোনো সুযোগ নেই।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, এখন বিষয়টি হলো যে সুষ্ঠু নির্বাচন করাটা যদি মূল উদ্দেশ্য হয়ে থাকে তাহলে আমি বলবো যে ইভিএম ভাল। এদেশের নির্বাচনে যারা হেরে যান, তারাই বলেন যে কারচুপি হয়েছে। কাজেই কেউ যদি হেরে যান বলার সুযোগ থাকবে না, যে কারচুপি হয়েছে। ইভিএমে যতো নির্বাচন করেছি, হেরে যাওয়ার পর দেখেন কোনো অভিযোগ আছে কিনা। কিন্তু যেখানে ব্যালটে নির্বাচন হয়, সেখানে ভোট ঠিকমত করে নাই, ভোট আগে দেয়, পরে দেয়, নানা কথা হয়। ইভিএমের প্রভাব বিস্তার করার কোনো সুযোগ নাই। আমাদের সামর্থ থাকলে ৩০০ আসনেই নির্বাচন করতাম। ইভিএম নিয়ে বিএনপির অনাস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, উনারা আগে থেকেই অনাস্থার কথা বলেছেন। আবার অনেকের আস্থা আছে। আমাদের কাজ হলো সবকিছু বিবেচনা করে যেটা সঠিক মনে হবে সেটাই সিদ্ধান্ত নেবো। ৩৯টি দল আছে। সবাই যদি বাতিল চায় যে প্রক্রিয়া আছে সেটাই হবে। আরা একটা দুইটা যদি না চায় অন্যরা যদি চায় তাহলে গণতান্ত্রিক যেটা হয়, সেটাই তো করতে হবে।
বিএনপির করা বর্তমান কমিশনের পদত্যাগের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টা হলো যে রাজনৈতিক দলগুলোর নানা চাহিদা থাকতে পারে। কোনটা পালন করবেন? এখন সব দল যদি চায় তাহলে তো আমরা। কাজের মাধ্যমে আস্থা অর্জনের চেষ্টা করবো। আমাদের কোনো পক্ষপাতিত্ব আছে কিনা সেটা দেখেন। ইকুয়েল আচরণ করছি কিনা সেটা দেখেন। একটা দল আরেকটা দলের কাছে চাওয়া প্রেক্ষিতে যদি নির্বাচন কমিশনকে টার্গেট করা হয়, সেটা তো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আমাদের তো উদ্যোগ সব সময় থাকবে, যখন যখন মনে হবে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার দরকার, তখন তো অবশ্যই করবো। সাত এমপির পদত্যাগ নিয়ে তিনি আরো বলেন, তাদের পদত্যাগ ভিন্ন একটি ইস্যু। যতটা না নির্বাচন সম্পর্কিত, ততটা রাজনৈতিক। এটা স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছি। একজন সংসদ সদস্য তিনি পদত্যাগ করতে পারেন। এটা সংবিধানে বলা আছে, যে কিভাবে পদত্যাগ করবেন সেটা বলা আছে। এখানে ইসির উৎসাহ, নিরুৎসাহিত করার কোনো সুযোগ নেই। তিনি আরো বলেন, নিবন্ধিত দল হিসেবে আমরা যে কোনো সময় উনাদের সঙ্গে আলোচনা করতেই পারি। উনারাও চাইতে পারে। আমাদের যখন যে দায়িত্ব পালন করার উচিত তখন সেভাবেই দায়িত্ব পালন করবো। রাজনৈতিক বিষয়গুলো রাজনীতিবিদরা দেখবেন সরকার দেখবেন। আমাদের কাজের লিমিট দেওয়া আছে। এটা দল ও সরকারের উপর নির্ভর করে। সরকারের সাথে সভার করে দেয়ার আয়োজন করা বা সংলাপ করা ইসির দায়িত্ব নয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com