কুড়িগ্রামে সরিষা চাষে বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা। এ বছর জেলার ৯টি উপজেলার ৪৫০টি চরাঞ্চলে দেখা যাচ্ছে হলুদের সমারোহ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, সরিষা চাষে কম সময়ে ফসল ঘরে তোলা যায়। এতে খরচ কম। অন্য শস্যের তুলনায় সার ও কীটনাশকের প্রয়োজন কম হওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকছেন সরিষা চাষের দিকে।
পাঁচগাছি ইউনিয়নের উত্তর কদমতলা গ্রামের কৃষক মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমি ৩ বিঘা জমিতে সর্ষের আবাদ করেছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর আবাদ ভালো দেখা যাচ্ছে। সর্ষে ক্ষেতে কোনো প্রকার রোগবালাই না হলে লাভবান হবো।’
চর ভেলাকোপা গ্রামের কৃষক মো. সেকেন্দার আলী বলেন, ‘আমি ৪ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। এতে খরচ কম লাভ বেশি। বিঘাপ্রতি ৪-৫ হাজার টাকা খরচ হয়। বিঘাপ্রতি ৬-৭ মণ সরিষা পাওয়া যায়। বর্তমান বাজারে মণপ্রতি দাম ২,৮০০-৩,০০০ টাকা।’
যাত্রাপুর ঘনশ্যামপুর গ্রামের কৃষক মো. একরামুল হক বলেন, ‘আমন ধান তোলার পর কিছু সময় জমি ফাঁকা থাকে। কম সময়ে বাড়তি আয়ের চিন্তা করে ৩-৪ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করি। বাজারে চাহিদা ভালো থাকায় আগামীতে চাষ বাড়ানোর কথা ভাবছি।’
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, ‘কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলায় গত বছর ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছিল। ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় এ বছর ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। আগামী ৩ বছরের মধ্যে জেলায় ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য কাজ করা হচ্ছে।’