খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন পালিত হয়েছে। বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান এলাকাগুলিতে ভোর থেকেই উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করতে থাকে। গির্জায় গির্জায় আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে এ দিনটি পালন করা হয়। সারা বিশ্বের মতো রবিবার সকালে খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারীদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিনে কালীগঞ্জের সেন্ট লিকোলাস চার্জ, সাধু যোহন গির্জা, রাঙ্গামাটিয়া গির্জা, দড়িপাড়া গির্জা ও মঠবাড়ী গির্জাসহ মোট ৫টি ধর্মপল্লীতে একযুগে সমবেত প্রার্থনা করা হয়। গির্জায় আগত সব শ্রেণি-পেশার যিশুভক্তরা সবার মাঝে ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য বিনিময় করেন। গির্জার ফাদার জয়ন্ত এস গমেজ, আলভী গমেজ ও তোষার গমেজ জানান, উপজেলার নাগরী ও তুমলিয়া ইউনিয়নের প্রায় ২৫ হাজার লোক সমবেত হন। গির্জায় ঘণ্টাধ্বনি, সমবেত প্রার্থনা ও প্রচলিত রীতিনীতির মধ্য দিয়ে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের এ ধর্মীয় উৎসব শুরু হয়। এ সময় বর্ণিল সুরের মূর্ছনায় প্রভু যিশু স্মরণে প্রার্থনা সংগীত পরিবেশন করা হয়। বিপুলসংখ্যক যিশুভক্ত নারী-পুরুষ ও শিশুরা ধর্মীয় প্রার্থনায় অংশ নিয়ে প্রভু যিশুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জীবনযাপন দেশবাসীর মঙ্গল কামনা করেন। অপরদিকে কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপির পক্ষ থেকে প্রতিটি গির্জায় কেকসহ অন্যান্য উপহারসামগ্রী দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এইচ.এম. আবু বকর চৌধুরী, পৌর মেয়র এস.এম. রবিন হোসেন, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শরিফ হোসেন খান কনক, ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন অলি উল ইসলাম অলি, মহিলা আ’লীগের সভাপতি জুয়েনা আহমেদ, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী হারুন অর রশিদ টিপু, সদস্য সুনীল গোপ, শ্রমিক কলেজের সাবেক ভিপি আব্দুল মতিন খান প্রমুখ।