ডানা ঝাপটে চঞ্চল মনে খালে ভেসে বেড়াচ্ছে হাঁসগুলো। যেন মুক্তপ্রাণে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। এরই মধ্যে খাবার নিয়ে হাজির হোসেন আলী (৬৩)। তাকে দেখে হাঁসগুলো ছুটে এলো। হাসিমাখা মুখে ক্ষুধার্ত হাঁসগুলোকে খাবার দিলেন হোসেন আলী। এটা তার নিত্যদিনের কাজ। তিনি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ভাদার গ্রামের বাসিন্দা। হোসেন আলী জাগো নিউজকে জানান, প্রায় এক যুগ ধরে তিনি হাঁস পালন করেন। নিজেই এগুলোর দেখাশোনা করেন। বিভিন্ন জাতের ছয়শ হাঁস রয়েছে তার। এদের মধ্যে বর্তমানে ২০০টির মতো ডিম পাড়ে। হাঁসগুলোকে দিনে দু’বার খাবার দেওয়া হয়।
খাবার হিসেবে ধান বেছে নিয়েছেন তিনি। কারণ ধান খেলে হাঁস বেশি ডিম দেয় এবং হাঁসের ওজন ভালো থাকে। সেইসঙ্গে হাঁসগুলোকে নিয়মিত খাল-বিলে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, প্রথম দিকে শখের বসে দু-একটা হাঁস পালন শুরু করলেও এখন হাঁসেই চলে সংসার।
স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী কেরামত আলী জানান, হোসেন আলী হাঁস পালন করে সংসারে বেশ আয় বাড়িয়েছেন। শহরে দেশি হাঁসের ডিম ও মাংসের চাহিদা খুব বেশি। তাই তার হাঁস ও ডিম বাড়িতে এসেই অনেকে কিনে নিয়ে যায়। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গৌরাঙ্গ কুমার তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, হাঁস পালনে তেমন শ্রম দিতে হয় না। বাইরে ছেড়ে দিলে নিজেরাই খাবার সংগ্রহ করতে পারে। অতিরিক্ত খাদ্য চাহিদা মেটাতে ধান ও চালের কুঁড়া দেওয়া যায়। হাঁস সাধারণত পাঁচ মাস বয়সে ডিম দেওয়া শুরু করে। অল্প বিনিয়োগেই হাঁস পালন করা যায়।