আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমাদের এখন প্রয়োজন দেশের মানুষকে বাঁচিয়ে রাখা। আমরা কাউকে আক্রমণ করবো না, তবে আক্রান্ত হলে কোনও ছাড় দেবো না।’ গতকাল শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে ফেনীতে পৌঁছালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের ‘গতবারও ২৩ দল ছিল। এবার ৩৩ দল। অতি বাম, অতি ডানের মধ্যে প্রগতিশীল আর প্রতিক্রিয়াশীল একসঙ্গে হয়ে গেছে। সব এক কাতারে একাকার। লক্ষ্য কী? শেখ হাসিনাকে হটানো! বিএনপির এই ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন পয়েন্টে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সতর্ক অবস্থানে থাকবে। তারা বিভিন্ন দিক থেকে মিছিল নিয়ে এসে স্পটে শান্তি সমাবেশ করবে।’ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে টানা তিনবারের মতো পুননির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো আজ দুপুরে হেলিকপ্টারযোগে ফেনীতে পৌঁছালে তাকে দলের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
ওবায়দুল কাদেরের আগমন উপলক্ষে সকাল থেকে হেলিপ্যাডস্থল ফেনী ক্যাডেট কলেজের আশপাশে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানাতে মিছিলসহকারে সমবেত হন। সেখানে নেতাকর্মীরা ওবায়দুল কাদেরকে সংবর্ধনা দিলে দুপুর দেড়টার দিকে ফেনী থেকে সড়কপথে তার নিজ এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে রওনা দেন। সেখানে তিনি মা-বাবার কবর জিয়ারত করবেন। এরপর পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।