দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দেশি জাতের পাশাপাশি গাড়ল জাতের ভেড়া পালনে ঝুকছে খামারিরা। বেশি লাভের আশায় বিলুপ্ত হওয়া এই জাতের ভেড়ার বংশ বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছেন এখানকার খামারিরা। তবে স্থানীয় প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে কোন ধরনের সহযোগীতা না পাওয়ার অভিযোগ করেন তারা। এদিকে প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা বলছেন খামারিদের সার্বিক সহযোগীতার জন্য আমরা প্রস্তুত। আমাদের দেশে গাড়ল ভেড়ার জাত প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পথে। খরচ কম, বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন নতুন শংকর জাতের ভেড়া (গাড়ল) পালনে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা খামারিদের। দেশিয় জাতের ভেড়ার পাশাপাশি গাড়ল (ভেড়া) পালন করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন পৌর শহরের তেতুলিয়া গ্রামের খামারী মোঃ জহুরুল ইসলাম। তিনি তার নিজের আমবাগানে গড়ে তুলেছেন ভেড়ার খামার। প্রথম দিকে ৬০টি দেশি জাতের মা ভেড়া দিয়ে তিনি খামার শুরু করেন। ১ বছরের মাথায় এখন তার খামারে ভেড়ার সংখ্যা বৃদ্ধি হয়ে দাড়িয়েছে ১২০টিতে। গাড়ল ভেড়া বৃদ্ধির লক্ষ্যে এর মধ্যে তিনি ১টি গাড়র পুরুষ ভেড়া ক্রয় করেছেন। এই ভেড়া দিয়ে তিনি বিলুপ্ত গাড়ল জাতে ভেড়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করবেন বলে আশা করছেন। উপজেলার ভেড়া খামারী মোঃ জহুরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রানি সম্পদ অফিস থেকে টিকা ও পরামর্শ না পওয়ার আক্ষেপ আছে তার। পশু হাসপাতালে গেলে খামারিদের গুরুত্ব না দিয়ে ডাক্তার ঔষধ বিক্রয় প্রতিনিধিদের গুরুত্ব দেন বেশি। অনেক সেবা ভোগীকে ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকতেই দেওয়া হয় না। এমন অনেক অভিযোগ করে তিনি। উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ড. মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, ফুলবাড়ীতে ভেড়ার খামার সংখ্যা অনেক কম। এই এলাকায় একটি মাত্র খামার আমাদের নিবন্ধিত। শুনলাম সেখানে দেশিয় প্রজাতির ভেড়ার পাশাপাশি গাড়ল প্রজাতির ভেড়া পালন করা হচ্ছে। খামারী যদি আমাদের সহযোগীত চান তা হলে আমরা তাতে পরামর্শ,ঔষধ ও কারিগরিসহ সার্বিক সহয়তা প্রদান করবো।