দিনাজপুরের হাকিমপুরে (হিলি) পূর্ব শত্রুতার জেরে ৪০ বিঘা জমির বোরো বীজতলা কীটনাশক প্রয়োগ করে নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে বীজতলার মালিক ওসমান আলী বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত বীজতলা পরিদর্শন করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। হাকিমপুর উপজেলার বোয়ালদাড় গ্রামে এঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সায়েম মিয়া। জমির মালিক ওসমান আলী বলেন, আমি অনেক আশা নিয়ে এবার বোরো মৌসুমের ধান চাষের জন্য ৪০ বিঘা জমির বীজতলা তৈরি করেছি। বীজতলায় চোখে ধরার মতো বীজ হয়েছে। গত শুক্রবার সকালে জমিতে গিয়ে দেখি, সব বীজ মরে যাচ্ছে। আজ তিন দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ বীজ মরে গেছে। এখন আমি কি করবো? এতোগুলো বীজ কোথায় পাবো। তিনি আরও বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে কে বা কাহারা আমার এই সর্বনাশ করেছে। আমি শেষ হয়ে গেছি। আমি আজ নিঃস্ব, আমি এর সঠিক বিচার চাই। স্থানীয়রা বলেন, বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ, কৃষির উপর দেশ নির্ভরশীল। কিন্তু কৃষি কাজে এতো বড় বাঁধা। বীজগুলো নষ্ট হয়ে ওসমানের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। কে বা কাহারা তার এই ক্ষতি করেছে। আমরা এর বিচার চাই। হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ড. মমতাজ সুলতানা বলেন, আজ সকালে বিষয়টি জানার পর সরেজমিনে এসে বীজতলা পরিদর্শন করলাম। বীজতলায় আগাছা দমনের কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা এবং পরামর্শ কৃষককে দিলাম, কিভাবে বীজতলা রক্ষা করা যায়। তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে আগামীতে সরকারি ভাবে প্রণোদনা দেওয়া হবে এবং যারা এই ক্ষতি করেছে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। ২নং বোয়ালদাড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছদরুল ইসলাম বলেন, ওসমান আলীর বীজতলা ক্ষতির বিষয়টি আবগত হয়েছি। কে বা কাহারা এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এবিষয়ে হাকিমপুর থানা অফিসার ইনচার্জ আবু সায়েম মিয়া বলেন, বোয়ালদাড় গ্রামে কে বা কাহারা বীজতলার বীজ নষ্ট করেছে। অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।