১৮ জানুয়ারী পটিয়া পৌরসভার মেয়র মোঃ আইয়ুব বাবুল ও মোহছেনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা চাঁদ সুলতানার একমাত্র ছেলে আতিক শাহরিয়ার মাহির ১ম মৃত্যুুু বার্ষিকী। গত বছরের এই দিনে মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মাহি মৃত্যুর বরন করে। মৃত্যুর পর থেকেই পটিয়া পৌরসভার মেয়র মোঃ আইয়ুব বাবুল তাঁর ছেলের অকাল মৃত্যুর জন্য পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সব্যসাচী নাথ কে দায়ী করে আসছেন। আজ তাঁর ছেলে মাহির ১ম মৃত্যু বার্ষিকী দিবসে পটিয়া উপজেলা পরিষদ গেইটের সামনে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: সব্যসাচী নাথের অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
মানববন্ধনে মেয়র আইয়ুব বাবুল বলেন,আমি পটিয়া পৌরসভার মেয়র ও আমার সহধর্মীনি একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হওয়ায় মানুষ বিভিন্ন সেবা গ্রহণের জন্য আমাদের পরিবারে যাওয়া আসা করার কারণে আমাদের পরিবার করোনা মহামারির ঝুঁকিতে ছিল। গত বছর করোনা মহামারি চলাকালীন সময়ে আমার কলেজ পড়ুয়া ছেলে মাহিকে টীকা দেওয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: সব্যসাচী নাথ কে বারবার আমি অনুরোধ করি। কিন্তু তিনি আমার অনুরোধ না রাখায় বিষয়টি তৎকালীন ইউএনও ফয়সাল আহমদ কে জানানো হলে তিনিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি।এসময় মেয়র আরও বলেন,আমার ছেলের অকাল মৃত্যুর জন্য উপজালা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: সব্যসাচী নাথ ও তৎকালীন ইউএনও ফয়সাল আহমদ দায়ী। গত এক বছর যাবত আমি তাদের দুই জনের অপসারণ সহ শাস্তির দাবী জানিয়ে আসছি যাতে ভবিষ্যতে মানুষের জীবন নিয়ে চিনিমিনি খেলতে না পারে।ইতিমধ্যে ইউএনও বদলি হলেও অদৃশ্য খুঁটির জোরে বহাল তবিয়তে রয়েছে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
সার্বিক বিষয়ে আমি হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি কে অবগত করেছি।কিন্তু দু:খের বিষয় তিনিও কোন ব্যবস্হা নেননি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: সব্যসাচী কে অপসারণ করা না হলে লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, দক্ষিণ জেনারেল আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক একেএম আবদুল মতিন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, চট্টগ্রাম চারুকলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবদুল আলীম, চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার চৌধুরী মাহবুবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম মাস্টার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শাহাদাত হোসেন ফরিদ চেয়ারম্যান, শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, কামরুল হাসান বাবু,কাউন্সিলর গোফরান রানা, কাউন্সিলর শফিউল আলম, কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা খায়ের আহমদ, উপজেলা কৃষক লীগের আহবায়ক নুরুল আবছার চৌধুরী, রৌশনগীর আমিরী, সবুজ বড়ুয়া সাজু, ওহিদুল্লাহ কালু, ব্যাংকার নুরুল ইসলাম প্রমূখ।