গুণিজনের সমাদর থাকলেই, গুণিজন জন্মায়। এ প্রতিপাদ্যকে প্রধান্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাতার পর থেকে সর্বপ্রথম এমন ভ্রাতৃত্ব ও সৌহাদ্যপূর্ণ পারিবারিক মিলন মেলার, প্রয়াত সাংবাদিকদের মরনোত্তর সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন মহেশখালী প্রেসক্লাব। ৩০ জানুয়ারী রবিবার মহেশখালী উপজেলার বাবু দীঘি চত্বর মহেশখালী প্রেসক্লাবের উদ্যোগে পারিবারিক মিলন মেলা, প্রয়াত সাংবাদিকদের মরনোত্তর সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ এমপি। উক্ত অনুষ্ঠানটি সকালে জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে পতাকা উত্তোলন মধ্যদিয়ে সূচনা হয়। অতিথিদের মঞ্চে আসন গ্রহণের পরবর্তী কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ এমপি, মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রনব চৌধুরী, মহেশখালী উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার পাশা চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান শরীফ বাদশা, আজিজুর রহমান, সিআইপি আব্দুস শুক্কুর, জাতীয়পাটির কেন্দ্রীয় সদস্য মুহিবুল্লাহ, মহেশখালী উপজেলা আ’লীগের সম্পাদক ও কালারমারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ, মহেশখালীর কর্মরত সিনিয়র সাংবাদিক ফরিদ দেওয়ান, কর্মরত সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুস ছালাম কাকলী, প্রেসক্লাবের সাবেক জয়নাল আবেদীন, হানুরুর রশিদ, মাহাবুব রোকন ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল হালিম। সমাপনী বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবে সভাপতি আবুল বশর পারভেজ। বক্তারা বলেন, উত্তাল সমুদ্রের মাঝেখানে অবস্থিত পাহাড় সমৃদ্ধ দ্বীপ মহেশখালীতে যাদের নিখুঁত পবিত্র কলমের লিখনিতে সত্য, নিরপেক্ষ এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন হয়েছে বা হচ্ছে প্রয়াতদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। যাঁরা কর্মরত আছেন তাদের নিকট হইতে নিরপেক্ষ, বাস্তব ও সত্য সংবাদ প্রত্যাশা করছি। যেহেতু সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। তৎসময়ের কেউ চিকিৎসক, কেউ সানুষ গড়ার কারিগরা সাহসী প্রাবন্ধিকতা মধ্যদিয়ে দেশ ও দশের কথা লিখনির মাধ্যমে প্রকাশ করতেন। বক্তারা আরো বলেন ১৯৮৫ সালে মহেশখালী প্রেসক্লাবটি স্থাপিত হলেও অদ্যাবধি একটি স্থায়ী কার্যালয় না থাকায়, স্থায়ী কার্যলয় নির্মাণে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মহেশখালীর কৃতি সন্তান ভোরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি সৈয়দুল কাদের, চ্যানেল আই এর জেলা প্রতিনিধি সরওয়ার আজম মানিক, বাংলা ভিশন এর জেলা প্রতিনিধি মোয়াজ্জেম হোসেন সাকিল, মহেশখালী থানার ওসি (তদন্ত) মীর আব্দু রাজ্জাক, উপজেলা নির্বাচনী অফিসার বিমলেন্দু কিশোর পাল, প্রোকৌশলী সবুজ কুমার দে, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছালামত উল্লাহ খান, শাপলাপুর ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট আব্দুল খালেক চৌধুরী, কুতুবজোম ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ কামাল। আরো উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে সাফল্যময় করেন তুলেন মহেশখালী কর্মরত সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবার, স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গরা। মধ্যাহ্নভোজন আগমুহুর্তে মহেশখালী প্রয়াত প্রথম সাংবাদিক যথাক্রমে মরহুম মাওলানা শফিকুল্লাহ খাঁনের পক্ষে তাঁর স্ত্রী, মরহুম প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডাঃ সোলতান উদ্দীনের পক্ষে পরিবারের সদস্য মরহুম সাজ্জাদ জহির এর পক্ষে তাঁর ভাতিজা মহেশখালীর কর্মরত সাংবাদিক প্রেসক্লাবের সদস্য তারেকুল ইসলাম মরহুম আহমদ হোছাইন এর মেজমেয়ে হামিদা হোছাইন মরনোত্তর ক্রেস্ট ও উপহার গ্রহণ করেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ছালামত উল্লাহ। সারা দিনব্যাপী সাংবাদিকদের পারিবারিক দ্বিতীয় অধিবেশনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করছেন চট্টলার খ্যাতিমান শিল্পীরা। অনুষ্ঠান শেষে র্যাফেল ড্র এর আকর্ষণীয় পুরষ্কার বিতরণীর মাধ্যমে শেষ হয়।