দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার দুইটি ইউনিয়নের গ্রামীণ সড়কগুলোর দুই পাশে মরা গাছ যেন মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। আতঙ্কে চলাচল করছে পথচারীরা। উপজেলার ২নং বোয়ালদাড় ও ৩নং আলীহাট ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামীণ রাস্তার দুই পাশে শত শত মরা গাছ শুকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মরা গাছগুলো মাঝেমধ্যে সামান্য বাতাসে ভেঙ্গে পড়ে রাস্তার উপর। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে পথচারী ও এলাবাসীরা। ভ্যান চালক গোলাম রাব্বানী বলেন, আমি প্রতিদিন এই রাস্তার দিয়ে যাতায়াত করি জীবনে ভয় নিয়ে চলাচল করতে হয়। কয়েক দিন আগে অল্পের জন্য প্রানে বেচেঁ গেছি। কৃষক আজিজুর রহমান নলেন, আমার রাস্তার পাশে জমিতে বোরো ধান চাষ করছি তবে সবসময় ভয়ে থাকি, কখন যেন মরা গাছগুলো ভেঙ্গে পড়ে। উপজেলার ২নং বোয়ালদাড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছদরুল ইসলাম বলেন, আমার ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামীণ রাস্তার দুই পাশের মরা গাছগুলো দাঁড়িয়ে। যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী স্যারের নিকট আবেদন করেছি। তাঁরা অনুমিত দিলে ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো কর্তন করবো। হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ নুর-এ-আলম বলেন, উপজেলার ইউনিয়নের গ্রামীণ সড়কগুলোর দুই পাশে মরা গাছ দাঁড়িয়ে আছে। গাছগুলো আসলেই বিপদজনক। ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা এসব মরা গাছ কাটার জন্য লিখিত আবেদন করেছে। ইতিমধ্যে আমরা বন বিভাগের নিকট মুল্য নির্ধারণের জন্য বলেছি। আশা করছি অচিরে এসব বিপদজনক গাছগুলো কর্তন হবে। এবিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, গ্রামীণ রাস্তাগুলোর মরা গাছগুলো বিপদজনক ও ঝুঁকিপূর্ণ। গাছগুলো কর্তন করা জরুরি। স্থানীয় চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া আছে রাস্তার গাছ কর্তন করার সকল কাগজপাতি ঠিক করে উপজেলায় জমা দিবে। পরে আমরা সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে মরা গাছগুলো কর্তন করার ব্যবস্থা নিবো।