শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৪ অপরাহ্ন

পাঠদানে চ্যাটজিপিটি কতটা উপকারী

ড. মো. মাহমুদুল হাছান
  • আপডেট সময় শনিবার, ২০ মে, ২০২৩

চ্যাটজিপিটি (ঈযধঃএচঞ), যার পূর্ণরূপ হলো, ‘চ্যাট জেনারেটিভ প্রি-ট্রেইন্ড ট্রান্সফরমার’। এটি এমন একটি চ্যাটবট, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপাদানগুলি ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের সাথে মানুষের মতো যোগাযোগ করতে, অনন্য পাঠ্য তৈরি করতে, তাৎক্ষণিক প্রশ্নের উত্তর দিতে এবং প্রবন্ধ রচনা করতে পারে। এটি মানুষের শিক্ষা ও তথ্য সংক্রান্ত যেকোন সমস্যার সমাধান করতে ও বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারে। চ্যাটজিপিটি কথোপকথনমূলক এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স)-এর একটি বিশেষ রূপ হওয়ায় এটি মানুষের সাথে সাবলীলভাবে স্বাভাবিক কথোপকথন চালাতে সক্ষম। মোটকথা, চ্যাটজিপিটি (ঈযধঃএচঞ) এমন একটি উদ্ভাবনী টুল, যার অভিনবত্ব হলো, এটি সুসঙ্গত, সমন্বিত, প্রাসঙ্গিক এবং সাবলীল উত্তর তৈরি করতে পারে। এটির স্বয়ংক্রিয় কাজ এমন একটি ধারণা দেয় যে, সেখানে কেউ আছে, আপনি স্ক্রিনে যা দেখছেন তিনি তাই টাইপ করছেন। মোটকথা, এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ব্যবহৃত একটি শিক্ষাবান্ধব উদ্ভাবন, যা শিক্ষার উন্নয়নে অনেক উপকারী। চ্যাটজিপিটি অতি অল্প সময়ের মধ্যে একটি সংবেদনশীল এবং ইন্টারনেটে সবচেয়ে দ্রুত অনুসন্ধানমূলক সার্চটুলে রূপান্তরিত হয়ে উঠেছে। এটি যেকোন প্রশ্নের আশ্চর্যজনকভাবে উত্তর প্রদান করতে সক্ষম, যার গুণমান অনেকাংশেই ঠিক থাকে। এটি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পাঠ্য তৈরি করতে সাহায্য করে। শ্রেণিশিক্ষার অনেক ক্ষেত্রেই যেকোন বিষয়ের এসাইনমেন্ট বা প্রজেক্ট পেপার তৈরি করতে গেলে চ্যাটজিপিটি বেশ কয়েকটি অনুচ্ছেদে দীর্ঘ, সঠিক, সম্পূর্ণ এবং অত্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে তা সম্পন্ন করতে দ্রুত সহযোগিতা করে। শুধু তাই নয়, এটি বেশ কয়েকটি ভাষায় এবং মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে যেকোন সমাধান তৈরি করতে পারে।
শিক্ষণ ও শিক্ষণ ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি একটি বিস্ময়কর আবিষ্কার। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনেক কাজ এটা সহজ করে দিয়েছে। চ্যাটজিপিটির ব্যবহার নিয়ে আশাবাদীরা অপার আশা ও সম্ভাবনার কথা বলছেন, আবার সংশয়বাদীরা বলছেন অনেক আশংকা ও সংশয়ের কথা। সুতরাং, আমরা শিক্ষাক্ষেত্রে এর যেমন সুবিধার বিষয়টি দেখি, ঠিক তেমনি এটির অনেক অসুবিধার কথাও ভাবি।
শিক্ষাক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটির প্রধান যে সুযোগ-সুবিধা ও আশা-প্রত্যাশা রয়েছে তম্মধ্যে যেমনটি শিক্ষক সম্প্রদায়ের জন্য রয়েছে, তেমনটি রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য। প্রথমে বলছি শিক্ষকগণ যেভাবে উপকৃত হতে পারেন: (১) ক্লাসে শিক্ষক যে বিষয়ের পাঠদান করতে আগ্রহী, সে বিষয়ের উপর তিনি একটি সুন্দর পাঠ পরিকল্পনা তৈরি করতে পারেন এ চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে। এটি ব্যবহার করে প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য আলাদাভাবে ব্যক্তিগত পাঠ পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়াও লিখতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষক যদি শিক্ষার্থীদের এমন একটি এসাইনমেন্ট দিতে চান যে, ‘একজন ভিজ্যুয়াল-স্পেশ্যাল লার্নারের কাছে নিউটনের গতির নিয়ম ব্যাখ্যা করো’ অথবা ‘বার্ষিক সম্মেলনে সংঘটিত বন্ধু পর্বের জন্য একটি স্ক্রিপ্ট লেখা।’ তাহলে এক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি অতি অল্প সময়ের মধ্যে একটি চমৎকার উত্তরপত্র তৈরি করে দিতে পারে, যা একজন শিক্ষক তার শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করতে পারেন এবং ইন্ডিভিজুয়াল মূল্যায়ন করতে পারেন। (২) এটি ক্লাসের অনুশীলনের জন্য একটি সূচনাবিন্দু হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে বা ইংরেজি ভাষা শিক্ষার্থীরা তাদের মৌলিক লেখার দক্ষতা উন্নত করার জন্য একটি সরঞ্জাম হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। (৩) চ্যাটজিপিটি শিক্ষকদের ক্লাসের প্রস্তুতির সময় বাঁচাতেও সাহায্য করতে পারে। শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে দ্রুত কুইজ তৈরি করে এর মাধ্যমে পরীক্ষা নিতে পারেন। এমনকি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন তৈরি করতে চ্যাটজিপিটি অনেক সহজ সমাধান দিতে পারে। (৪) এটি একটি অত্যাধুনিক অটোমেশন সিস্টেমে কাজ করে বিধায় শিক্ষকগণ তাদের সবচেয়ে বেশি সময়সাপেক্ষ কাজগুলির মধ্যে যেকোন একটিকে স্ট্রিমলাইন করতে পারেন। (৫) চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে শিক্ষক তার দেয়া অ্যাসাইনমেন্ট বা হোমওয়ার্কের গ্রেড এবং মূল্যায়ন প্রতিক্রিয়া প্রদান করতে পারেন। (৬) চ্যাটজিপিটি যেহেতু একটু দ্রতগামী সমাধান দিতে সক্ষম, সেহেতু শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের উপর আরও মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে বেশি সময় ধরে পাঠদান করতে পারেন।
এবার বলছি শিক্ষার্থীরা চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে যেভাবে উপকৃত হতে পারে: (১) এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আফটার-স্কুল-আওয়ার টিউটর হিসেবে কাজ করতে পারে। ধরুন, শিক্ষক তার ছাত্রছাত্রীদের একটি এসাইনমেন্ট দিয়েছেন যে, ‘জীবনের মূল দর্শন কী?’ তখন ছাত্রছাত্রীরা স্কুল আওয়ারের পরে চ্যাটজিপিটির সহযোগিতায় এর একটি যথোপযুক্ত উত্তরপত্র তৈরি করতে পারে। (২) চ্যাটজিপিটি হলো একটি ইফেক্টিভ রিসোর্স, যা শিক্ষার্থীরা দ্রুত উত্তর পেতে ব্যবহার করতে পারে। ধরুন, একজন শিক্ষার্থী তার আইফোন বা এন্ড্রয়েডের বাটন টিপতে টিপতে ক্লাসের কোন হোমওয়ার্ক সম্পর্কে কিছু লিখে ফেলে, এবং সাথে সাথে চ্যাটজিপিটি অতি সংগত উত্তর দিয়ে দেয়, তাহলে শিক্ষার্থীর জন্য সেটি হয় একটি অসাধারণ উপকার। এতে যেমন শিক্ষার্থীর সময় বাঁচলো, তেমনি তার হোমওয়ার্কটি যথোপযুক্ত হলো। মোটকথা, এটি তাদের হোমওয়ার্কের জন্য দুর্দান্ত একটি সমাধান। (৩) চ্যাটজিপিটির সাহায্যে শিক্ষার্থী তার লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে।
নো-রেড-ইনক (ঘড়জবফওহশ) এবং গ্রামারলি (এৎধসসধৎষু)-এর মতো বেশ কিছু লিখন সাহায্যের টুল আছে, চ্যাটজিপিটি একইভাবে কাজ করে। একজন শিক্ষার্থী একটি বাক্য টাইপ করলে চ্যাটজিপিটি সেটির সংশোধন দিতে পারে এবং বাক্যটি কীভাবে উন্নত করা যায়, সেবিষয়েও পরামর্শ দিতে পারে। (৪) চ্যাটজিপিটি টেক্সট মূল্যায়ন ও ফিডব্যাক প্রদানের একটি অন্যতম টুল, যার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী পাঠ্য বাক্সে একটি প্রবন্ধ সম্পূর্ণ করতে পারে এবং চ্যাটজিপিটির কাছে তার মূল্যায়ন চাইলে সেটি তার প্রতিক্রিয়া বা ফিডব্যাক জানাতে পারে। ফলে শিক্ষার্থী তার প্রবন্ধটি আরো ভালো ও উপযুক্ত করে তৈরি করতে পারে। (৫) এটি শিক্ষার্থীকে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার আগে তাদেরকে আরো উন্নতি করতে সময় ও সুযোগ দেয়। (৬) একজন শিক্ষার্থী চ্যাটজিপিটিতে তার ইচ্ছেমত পরীক্ষা ইনপুট করলে, তা শিক্ষার্থীকে সুন্দরভাবে পরামর্শ দিতে পারে। (৭) শিক্ষার্থী তার গবেষণা কর্মে চ্যাটজিপিটির সাহায্য নিতে পারে। কারণ, এটি অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং অনেক তথ্যভান্ডার দিয়ে সজ্জিত। গবেষক তার প্রয়োজনমত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে একটি পূর্ণাঙ্গ গবেষণাপত্র তৈরি করতে পারে।
মোটকথা, চ্যাটজিপিটি এমন একটি টুল, যা শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গবেষকদের জন্য তথ্য ও তত্ত্ব সরবরাহের সহায়কশক্তি হিসেবে কাজ করে। এর সব থেকে বড় সুবিধা ও আশার দিক হলো, এটি তথ্য সংগ্রহে দ্রুত অ্যাক্সেস দিতে পারে, অনুসন্ধানকারীর যেকোন প্রশ্নের দ্রুত সমাধান দিতে পারে এবং প্রশ্নোত্তরের সঠিকতা যাচাই-বাছাই করার সুনিপুণ কারিগরের মতো কাজ করতে পারে। এটি শিক্ষক ও গবেষকদের চিন্তন দক্ষতা বৃদ্ধি করে এবং সৃজনশীল মানসিকতা উন্নত করে।
তবে যেকোন নতুন আবিষ্কৃত প্রযুক্তির আশা ও সুবিধার দিক যেমন রয়েছে, তেমনি চ্যাটজিপিটির ব্যাপারেও সংশয় ও আশংকা রয়েছে। যেমন: (১) চ্যাটজিপিটির নির্ভুলতার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এটি ১০০% সঠিক নয়। কারণ, এর ডেটা ইন্টারনেট থেকে নেওয়া হয়। অনেক সময় প্রশ্নকর্তার মনের মতো উত্তর করতে পারে না। কখনো কখনো ভুল উত্তর দিয়ে থাকে। (২) এতে প্রাসংগিকতার অভাব রয়েছে। চ্যাটজিপিটি বুদ্ধিমান কিন্তু এটি প্রশ্নের সাথে উত্তরের প্রসঙ্গ ভুল বুঝতে পারে। যার ফলে এর ভুল আউটপুট বের হয় এবং অপ্রাসঙ্গিক উত্তর পাওয়া যায়, যা বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে তথ্য বিভ্রাটের শামিল। (৩) চ্যাটজিপিটিতে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনার অভাব রয়েছে। শিক্ষার্থী, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসগুলির মধ্যে একটি হলো সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা। কোন বিষয়ের উত্তর সবসময় তাদের নখদর্পণে থাকলে, তাদের নিজেদের চিন্তাশক্তি লোপ পায়। চ্যাটজিপিটি দ্রুত উত্তর দিয়ে দেয় বলে তাদের মধ্যকার সৃজনশীল মানসিকতা নষ্ট হয়ে যায়, ফলে তাদের মেধা থেকে আর কোন উদ্ভাবনী শক্তি তৈরি হয় না। (৪) এটি শিক্ষার্থীদের চিন্তাশক্তি দুর্বল করে দেয়। শিক্ষকদের দেয়া এসাইনমেন্ট বা প্রবন্ধের কাজটি দ্রুত করে দেয় বলে শিক্ষার্থীকে নতুন করে আর কোন চিন্তা করতে হয় না। কেউ কেউ বলেছেন, চ্যাটজিপিটি শুধুমাত্র মানুষের সৃষ্টিশীল চিন্তা ও মেধা চর্চার শক্তিকে ভোতা করছে না, বরং এটি তাদেরকে চৌর্যবৃত্তি শিক্ষা দিচ্ছে। শিক্ষক যখন তার শিক্ষার্থীদের নিজের চিন্তা চেতনায় কোন প্রশ্নের সমাধান করতে বলছে, তখন তারা তাদের সময় বাঁচাতে চ্যাটজিপিটির করে দেয়া উত্তর হুবহু কপি করছে। (৫) এটির আরেকটি বড় অসুবিধা হলো শিক্ষার্থীরা যেহেতু চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে হোমওয়ার্ক, প্রজেক্ট বা এসাইনমেন্ট তৈরি করছে, সেহেতু তাদের প্রত্যেকের উত্তর একই হয়ে যাচ্ছে, ফলে শিক্ষক তার শিক্ষার্থীদের মেধার মূল্যায়ন করতে হিমশিম খাচ্ছেন কিংবা শিক্ষায় কার অগ্রগতি কতটুকু সেটিও তিনি বুঝতে পারছেন না। এটি শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের অন্তরায়ও বটে। (৬) চ্যাটজিপিটি শিক্ষার্থীদের দিনে দিনে প্রযুক্তি নির্ভর করে ফেলছে। শিক্ষার্থীরা এবং অনেক শিক্ষকও তাদের ফোন থেকে দূরে থাকতে পারে না। চ্যাটজিপিটি সম্পূর্ণ প্রযুক্তিভিত্তিক টুল হওয়ায় তাদের প্রযুক্তির উপর বেশি নির্ভরশীল করে তুলছে। ফলে দেখা যাবে, এ ধরনের একটি সহজ সার্চটুলের সাহায্যে চ্যাটজিপিটিকে টুলের পরিবর্তে একদিন ক্রাচ হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করবে।
একদিকে আশাবাদীরা টুলটির প্রশংসা করেন কারণ এটি শিক্ষাদানকে সমর্থন করবে। অন্যদিকে, সংশয়বাদীরা তাদের শিক্ষকদের প্রশ্নগুলি রিলে করে ছাত্রছাত্রীদের সহজেই তাদের অ্যাসাইনমেন্ট সম্পূর্ণ করার সম্ভাবনার বিষয়ে একটি স্পষ্ট অসুবিধা ও আশংকা দেখতে পান। ইতিমধ্যে বড় একটি উদ্বেগের কারণ হিসেবে গবেষকরা আশংকা করছেন যে সার্চ ইঞ্জিন (যেমন অষঃধঠরংঃধ, ণধযড়ড়, এবং এড়ড়মষব এবং আরো অন্যান্য কিছু ইঞ্জিন) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাজ ও নীতিমালা পরিবর্তন করে দেয় কিনা। নিউইয়র্কের একটি স্কুল এই আশঙ্কায় চ্যাটজিপিটিকে নিষিদ্ধ করেছে যে, প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় নকল করতে পারে। অনেকেই মনে করছেন, কপি রাইটারদের ক্যারিয়ার ধ্বংস করতে পারে এটি। আবার গুগল মনে করছে, সার্চ ইঞ্জিনের বাজার দখলে নিয়ে নিতে পারে চ্যাটজিপিটির মতো অন্য সব এআই প্ল্যাটফর্ম। যাইহোক, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এ যুগে প্রযুক্তির সচেতনতামূলক ব্যবহার সবসময় আশির্বাদ হিসেবে কাজ করেছে, চ্যাটজিপিটি ঠিক এমনটিই হবে বলে আমার বিশ্বাস। চ্যাটজিপিটির সুষ্ঠু প্রয়োগের উপর নির্ভর করছে এটি কি আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আশা ও সম্ভাবনার নতুন দ্বার উম্মোচন করবে, নাকি আশংকা ও সংশয়কে আরো বাড়িয়ে তুলবে। আমাদের মনে হয়, শিক্ষার উন্নয়নে এটি যদি হয় শিক্ষকদের শিক্ষা উপকরণের সেরা টুল এবং একই সময়ে, শিক্ষার্থীদের জন্যও সেরা শিক্ষার সহযোগী মাধ্যম, যাতে নৈতিক অবক্ষয়ের কোন সুযোগ থাকবে না, তাহলেই চ্যাটজিপিটি ঈযধঃএচঞ) হবে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষার স্মার্ট কৌশলের একটি বিস্ময়কর উদ্ভাবন ও শ্রেষ্ঠ টুল।
লেখক: প্রিন্সিপাল, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ঢাকা ও প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ স্মার্ট এডুকেশন নেটওয়ার্ক




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com