ভারতের প্রথম বিশ্বসুন্দরীর তকমা পেয়েছেন সুস্মিতা সেন। এরপর আরও অনেকেই পেয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও পাবেন। কিন্তু ইতিহাসের পাতায় প্রথম বিশ্বসুন্দরী হওয়ার সারিতে তার নাম চিরদিন লেখা থাকবে। তাইতো সুস্মিতা সেনের জীবনে ২১ মে নিশ্চিতভাবে বিশেষ আলোক ছড়ানো দিন হিসেবে বিবেচিত। আজ থেকে ঠিক ২৯ বছর আগে এ দিনে তার মাথায় উঠেছিল ‘মিস ইউনিভার্স’ বা বিশ্বসুন্দরীর মুকুট। এ বিশেষ দিনটি স্মরণ করে পোস্ট করলেন বিশ্বসুন্দরী। গত রোববার (২১ মে) ভোরবেলায় নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পুরনো ছবি পোস্ট করেন অভিনেত্রী। সঙ্গে আবেগঘন ক্যাপশন। নিজের থ্রোব্যাক ছবির সঙ্গে ক্যাপশনে অভিনেত্রী লেখেন, ‘এই ছবিটা ঠিক ২৯ বছরের পুরনো, অসাধারণ মানুষ ও দুর্দান্ত ফটোগ্রাফার প্রবুদ্ধ দাশগুপ্তর তোলা। এ ছবির অপক্কতায়, ১৮ বছর বয়সী আমাকে তিনি খুব সুন্দর করে বন্দি করেছিলেন। মুখে হাসি নিয়ে বলেছিলেন, তুমি বুঝতে পারছ যে তুমিই প্রথম মিস ইউনিভার্স যার ছবি আমি তুললাম। আমি খুব গর্বিত স্বরে বলেছিলাম, এটা আসলে ভারতের সর্বপ্রথম মিস ইউনিভার্স।’
বিশ্বসুন্দরী ও অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন এ প্রতিযোগিতায় জিতেছিলেন পৃথিবীর আরও ৭৭টি দেশ থেকে আসা প্রতিযোগীদের সঙ্গে লড়াই করে। ১৯৯৪ সালে তিনিই প্রথম ভারতীয় নারী যিনি ‘মিস ইউনিভার্স’-এর খেতাব জেতেন। সুস্মিতা সেন তার ক্যাপশনে লেখেন, ‘এ সম্মানের জন্য আমার মাতৃভূমির প্রতিনিধিত্ব করা এবং সেই খেতাব জেতা এতই সম্মানের, যে আজও আনন্দে চোখে জল চলে আসে ২৯ বছর পরও! আমি এই দিনটিকে অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে উদযাপন করি এবং স্মরণ করি কারণ ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ভারত সর্বপ্রথম ২১ মে ১৯৯৪ সালে ফিলিপিন্সের ম্যানিলায় ‘মিস ইউনিভার্স’ খেতাব জিতেছিল। এ পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে শুভেচ্ছা বার্তা ও ভালোবাসায় ভরে যেতে থাকে কমেন্ট বক্স। ক্যাপশনের শেষে চেনা ঢঙে অভিনেত্রী লেখেন, ‘সমস্ত ভালোবাসা, ভালো লাগা ও সবচেয়ে মিষ্টি বার্তাগুলোর জন্য ধন্যবাদ। সবসময় উদযাপন করি! অনেক ভালোবাসা! দুগ্গা দুগ্গা।’