পৃথক দুর্নীতি মামলায় বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের সাজা এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ বছরের সাজা বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। বিএনপি নেতা টুকু ও আমানের সাজা দেয়ায় রায়ের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি নেতাদের কারাগারে পাঠিয়ে আবারও একতরফা নির্বাচনের দিকে এগুচ্ছে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ মে) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
দুই শীর্ষ নেতার সাজার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণকে গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে দূরে রাখতে, নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে মামলা হামলার পথ বেছে নিয়েছে সরকার। এই সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে না। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার রায় থেকে বোঝা যায় রাষ্ট্রযন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে দখলে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠিয়ে বিরোধী দলের আন্দোলন দমন করতে চায় সরকার। সেটি কোনভাবেই সম্ভব নয়। জনগণ রাজপথে তাদের অধিকার আদায়ে করবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নতুন করে শপথ নিয়েছি, হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার শপথ নিয়েছে বিএনপি।
উল্লেখ্য, ৪ কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পত্তির হিসাব ও আয়ের উৎস গোপন করার অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক শাহরিয়ার চৌধুরী ২০০৭ সালের মার্চে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী টুকুর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় এ মামলা করেন। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত এ মামলার রায়ে টুকুকে ৯ বছরের কারাদ- দেন। আর সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। সে মামলায় ওই বছরের ২১ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদ- দেওয়া হয়।