শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
শেখ পরিবারের কারোরই রাজনীতিতে ফেরার সম্ভাবনা নেই : তাজউদ্দীনের মেয়ে আগামী প্রজন্মকে দূষণমুক্ত খাল আর দূষণমুক্ত নদী দেখাতে হবে- পানি সম্পদ উপদেষ্টা আরও ১৮টি গ্যাসকূপ খনন করা হবে ভোলায়: জ্বালানি উপদেষ্টা ব্যাংকে সাইবার আক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে: বাংলাদেশ ব্যাংক মার্কিন নির্বাচন: আগাম ভোট দিয়েছেন ৬ কোটিরও বেশি ভোটার দিনাজপুর রামসাগর জাতীয় উদ্যান উপভোগ করতে পর্যটকদের ভীড় ৭ নভেম্বর রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষণা করতে হবে : জয়নুল আবদীন ফারুক পলাশ বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হন পলিথিন শপিং ব্যাগ বন্ধে ৩ নভেম্বর থেকে উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালের দাম সহনীয় রাখতে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার

বড় চার স্থায়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনের অপেক্ষায়

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৪ জুন, ২০২৩

প্রায় আড়াই হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন চারটি স্থায়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনের অপেক্ষায় রয়েছে। খুলনা ও ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এগুলো উৎপাদনে আসবে। পিডিবি এবং বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।
সম্প্রতি বিদ্যুৎ সংকটের মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও জানিয়েছেন, চলতি বছর আমাদের বড় বড় কয়েকটি বেইজ লোড বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসছে। এগুলো যথাসময়ে উৎপাদনে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। সূত্র জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিক পাওয়ারের ৬০০ মেগাওয়াটের পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণকাজ শেষের পথে। কেন্দ্রটির সব যন্ত্রাংশ ইতোমধ্যে সংযোজন করা হয়েছে। এখন কেন্দ্রটির শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে।
পিডিবি সূত্র জানায়, এর বাইরে মেঘনাঘাটেই দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। এরমধ্যে ভারতের রিলায়েন্স গ্রুপের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। কেন্দ্রটি ৭১৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার। এছাড়া দেশীয় কোম্পানি সামিট পাওয়ার ৫৮৩ মেগাওয়াটের আরও একটি কেন্দ্র নির্মাণ করছে। অন্যদিকে খুলনায় নর্থওয়েস্ট পাওয়ার কোম্পানি ৮০০ মেগাওয়াটের একটি কেন্দ্র নির্মাণ করছে।
সবগুলো কেন্দ্রই গ্যাসচালিত। কেন্দ্রগুলো চালু করা সম্ভব হলে তেলের ওপর সরকারের নির্ভরতা কমবে। চলতি বছর সরকারের ডিজেলচালিত কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র বলছে, এখন দেশে বিদ্যুৎ সংকট না থাকলেও ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তা মাথায় রেখে কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। সরকার ১০০টি ইকোনমিক জোন নির্মাণ করছে। এসব ইকোনমিক জোনে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে অনেক। এসব ইকোনমিক জোনে বিপুল পরিমাণ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করছে সরকার।
সূত্র বলছে, সবগুলো বিদ্যুৎকেন্দ্রই নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তিন থেকে চার বছর আগে। কেন্দ্রগুলো এরমধ্যে উৎপাদনে আসছে। তবে শিডিউলে দেখা যায় কেন্দ্রগুলোর মধ্যে দুটির গত মার্চেই উৎপাদনে আসার সময়সীমা নির্ধারিত ছিল। তবে উৎপাদনে আসার সময় কিছু দিন পিছিয়ে গেছে। বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, পিছিয়ে গেলেও বছরের শেষ নাগাদ সবগুলো কেন্দ্র উৎপাদনে চলে আসবে বলে আমরা আশা করছি। তিনি বলেন, নানা সংকটের কারণে কেন্দ্রগুলো উৎপাদনে আসতে দেরি হয়েছে। বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে কিছুটা বেশি সময় লাগাটা অস্বাভাবিক নয়। এখন দেশে ১৪৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রয়েছে। চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের আওতায় রয়েছে। পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেইন বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদনে এলে সংকট বেশ কিছুটা কমে আসবে। তবে গ্যাসভিত্তিক এই কেন্দ্রগুলোর সবচেয়ে বড় সমস্যা গ্যাস প্রাপ্তি। আমরা আশা করছি গ্যাস পাওয়া গেলে সহজেই বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়বে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com