বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০১:১১ অপরাহ্ন

কুরবানির ঈদ : স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাই সচেতনতা

ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৭ জুন, ২০২৩

মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা বা কুরবানির ঈদ।ছেলে-বুড়ো, ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই কোরবানি ঈদের খুশিতে মাতোয়ারা হয় এ ঈদ!! আত্মত্যাগ ও মানবতার বার্তা নিয়ে প্রতিবছর মুসলমানের সামনে হাজির হয় এ উৎসব।মহাসমারোহে পালিত হয় বিশ্ব মুসলিমের ঐক্য ও সৌহার্দ্যপূর্ণ এ ইবাদত।
ঈদ একটি আরবি শব্দ। শব্দটি খুশি, উৎসব এবং আনন্দ প্রকাশক অর্থেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। শব্দটি আরবি হলেও বাংলা, ইংরেজি, উর্দু, ফার্সি এবং হিন্দিসহ প্রায় সব ভাষাতেই শব্দ ও অর্থের মাঝে কোনো পার্থক্য নেই।
ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায়, জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু করে ১২ই জিলহজ্ব দুপুর পর্যন্ত মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে প্রাণী জবাই করাকে ঈদুল আযহা বলা হয়।
> ঈদের দিন সকালের খাবারঃ- ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে অল্প করে সেমাই বা পায়েশ খান। অনেকেই শরবত, কোমল পানীয়, ফ্রুট জুস ইত্যাদি খাওয়া পছন্দ করেন। চেষ্টা করুন মৌসুমি ফল দিয়ে এসব জুস তৈরি করতে। কারণ এসব জুসের কোনো তুলনা নেই। তাতে মজা ও উপকার দুই-ই পাবেন। লেবুর শরবত, বাসায় বানানো ফলের রস, কিশমিশ, বাদাম, ডাবের পানি, বোরহানি ইত্যাদি খাওয়া যায়। খাওয়ার আধঘণ্টা পর দেড় থেকে দুই গ্লাস পানি খেয়ে নামাজ পড়তে যান।
> ঈদের সময় খাবার খাবেন বুঝেশুনেঃ-যাঁদের বয়স কম, শারীরিক বা হজমেরও কোনো সমস্যা নেই, তাঁরা নিজের পছন্দমতো সবই খেতে পারেন, শুধু অতিরিক্ত না হলেই হলো, বিশেষ করে চর্বি-জাতীয় খাদ্য। বেশি মাংস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যায়। যাঁদের এনাল ফিশার ও পাইলস-জাতীয় রোগ আছে, তাঁদের পায়ুপথে জ্বালাপোড়া, ব্যথা ইত্যাদি বাড়তে পারে, এমনকি পায়ুপথে রক্তক্ষরণও হতে পারে। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি, শরবত, ফলের রস, ইসবগুলের ভুসি ও অন্যান্য তরল খাবার বেশি খাবেন। পেটে গ্যাস হলে নাক্স ভূমিকা,ওষুধ খেতে পারেন। যাঁদের আইবিএস আছে, তাঁরা দুগ্ধজাত খাবার পরিহার করুন। দাওয়াতে গেলে পরিমিত খাবেন। অতিভোজন পরিহার করার চেষ্টা করবেন। হয়তো অনেক খাওয়া-দাওয়া টেবিলে সাজানোই থাকবে, কিন্তু খেতে বসলেই যে সব খেতে হবে তা নয়। রাতের খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে পড়বেন না। খাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা পর বিছানায় যাবেন। খাবারের ফাঁকে ফাঁকে পানি খাবেন না, এতে হজম রসগুলো পাতলা হয়ে যায়। ফলে অনেক সময় হজমে অসুবিধা হয়। তাই খাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা পর পানি পান করুন।
> ঈদের সময় চর্বি এড়িয়ে চলুন : অতিরিক্ত চর্বি খাওয়া এমনিতেই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কোরবানির সময় এ বিষয়টি বিশেষভাবে খেয়াল রাখা উচিত। অনেক সময় দেখা যায়, আমরা রান্না সুস্বাদু হবে মনে করে মাংসে বেশ কিছু চর্বি আলাদাভাবে যোগ করি, এমন ধারণা একেবারেই ভুল। মাংসের সঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণে সবজি খাওয়া যেতে পারে। টাটকা সবজি পাকস্থলীকে সাবলীল রাখে। পরিমিতি বোধ যেখানে রসনা সংবরণ করতে পারে, সেখানে ভয়ের কিছু নেই। মাংসে তেল বা ঘিয়ের পরিমাণ কমিয়ে দিলে, ভুনা মাংসের বদলে শুকনো কাবাব করে খেলে, কোমল পানীয় ও মিষ্টি একেবারে কমিয়ে খেলে কোরবানির ঈদের সময়ও ভালোই থাকা যায়। সেই সঙ্গে হালকা ব্যায়াম বা বেশ কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে শরীর থেকে অতিরিক্ত ক্যালরি কমিয়ে নিতে পারলে আরও ভালো।
> ঈদের সময়বয়স্কদের থাকতে হবে সচেতনঃ-মধ্যবয়সী এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের খাবার সম্পর্কে সচেতন থাকা আরও জরুরি। এমনকি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তে অতিরিক্ত চর্বি ইত্যাদি না থাকা সত্ত্বেও এই বয়সের মানুষের ঈদের খাবারের ব্যাপারে বাড়তি সতর্ক থাকা দরকার। অতি ভোজনে তাঁদের পেট ভরা ভাব, অস্বস্তিকর অনুভূতি, বারবার ঢেঁকুর ওঠা এমনকি বুকে ব্যথা পর্যন্ত হতে পারে। বেশি মাংস খেলে তা পরিপূর্ণভাবে হজম হতে সময় লাগে। ডায়াবেটিস রোগীকে অবশ্যই মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। তারা বরং টক খাবারের মাধ্যমে রসনা পূরণ করতে পারেন। নেহাত মিষ্টি খেতে চাইলে চিনির বিকল্প দিয়ে তৈরি করে নেবেন। পোলাও, বিরিয়ানি কম খাবেন। গরু বা খাসির মাংস খাওয়া যাবে, পরিমাণটা অতিরিক্ত যাতে না হয় এবং চর্বি যেন কম থাকে।
> ঈদের সময় উচ্চরক্তচাপ, স্ট্রোক এবং হৃদরোগীরাঃ-অতিরিক্ত গরুর মাংস খেলে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শুধু গরু নয়, মহিষ, ছাগল ও খাসির মাংসে থাকে উচ্চমাত্রার প্রোটিন ও ফ্যাট, তাই অতিরিক্ত মাংস খেলে স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও কোলেস্টেরল এর মাত্রা বেড়ে যায়, বিশেষ করে যারা আগে থেকেই এসব রোগে ভুগছেন তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। তাই মাংস খাওয়ার সময় অবশ্যই খেয়াল রেখে পরিমিত পরিমাণে এবং চর্বি ছাড়িয়ে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সারা বছর তাঁরা যে ধরনের নিয়মকানুন পালন করেন খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে, কোরবানির সময়ও সেভাবে চলাই ভালো। কোরবানির মাংস একটু-আধটু খেলে শরীরের যে খুব ক্ষতি হয়ে যাবে তা নয়, তবে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। যাঁদের ওজন বেশি, তাঁদের অবশ্যই ঈদের সময় খাওয়ার ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।
> ঈদের সময় কিডনি রোগীদেরঃ- যাঁরা কিডনির সমস্যায় ভোগেন, যেমন ক্রনিক রেনাল ফেইলুর, তাঁদের প্রোটিন-জাতীয় খাদ্য কম খেতে বলা হয়। তাই মাংস খাবার ব্যাপারে আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কোনোক্রমেই অতিরিক্ত মাংস খাওয়া ঠিক হবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সারা বছরের মতো ঈদের সময়ও একই খাবার খাওয়াই ভালো।
> ঈদের মাংস সংরক্ষণঃ-কোরবানির পরে মাংস বিলিয়ে দেওয়ার পরেও দেখা যায় ঘরে অনেক মাংস জমা থাকে, তা ভালোভাবে সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি। ফ্রিজে সংরক্ষণ সম্ভব হলে ভালো। তবে গ্রামগঞ্জে এমনকি শহরে অনেকের বাসায় ফ্রিজ না থাকলে সঠিকভাবে মাংস জ্বাল দিয়ে রাখতে হবে। এমনকি মাংস সেদ্ধ কওে শুকিয়ে শুঁটকির মতো করে অনেক দিন খাওয়া যেতে পারে। খাবার আগে খেয়াল রাখতে হবে, যেন মাংসের গুণগত মান ঠিক থাকে।পরিশেষে ঈদ আনন্দের। আর খাবারের তৃপ্তি না থাকলে এ আনন্দ যেন পূর্ণতা পায় না। তবে তা হতে হবে পরিমিত। ঈদের উৎসব আনন্দ আগেও ছিল, চলছে এবং ভবিষ্যতেও চলতেই থাকবে। খাওয়া-দাওয়ারও উৎসব আনন্দ অতিভোজন একইভাবে চলবে। অন্তত একটা দিন হলেও সবার এমন ইচ্ছা থাকে। তারপরও সবাইকে রয়ে-সয়ে খেতে হবে। কারণ অসংযমীভাবে খাদ্যগ্রহণ করে শুধু শুধু এই করোনাকালে ডাক্তারের কাছে কিংবা হসপিটালে ছোটাছুটির আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা ভেবে দেখতে হবে। সে ক্ষেত্রে ভোগান্তি বাড়বে বই কমবে না। ঈদ এবং ঈদ-পরবর্তী সময়ে ভালো থাকতে হবে, খাবারের বিষয়ে পরিমিতি জ্ঞান ও সংযম পালন করতে হবে। এভাবেই উৎসবও চলতেই থাকবে, স্বাস্থ্যটাও যেন ভালো থাকে। কারণ স্বাস্থ্য ভালো থাকলে উৎসবটাও ভালো কাটবে। সবাইকে মনে রাখতে হবে, এবারের ঈদ অন্য সাধারণ ঈদের মতো নয়। ঈদ উদযাপনের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারটি সবাইকে নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।
> কুরবানি ঈদের কিছু পরামর্শঃ-
* মাংস খাওয়ার লোভে পড়ে অল্প কয়েকদিনের মধ্যে নিজের ওজন বাড়িয়ে বসবেন না। স্বাস্থ্যই সুখের মূল- কথাটা ভুললে চলবে না।
* গরু, মহিষ, খাসি ও ভেড়ার মাংসে থাকে প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল। বেশি মাংস খেলে দীর্ঘমেয়াদে আপনার স্বাস্থ্য বিশেষত হার্টের ক্ষতি হতে পারে।
* কম মাংস খাওয়ার জন্য বেশি বেশি মাংস গরিব মিসকিনকে দিয়ে দিন। মনে রাখবেন দৈনিক ৯০ গ্রামের উপর মাংস খেলে বেড়ে যাবে ক্যানসারসহ হার্টের রোগ।
* মাংসের চর্বিযুক্ত অংশ বাদ দেয়ার চেষ্টা করুন। এছাড়া মগজ, চর্বি এবং ভুড়ি না খাওয়াই ভালো।
* যদি মাংস খেতেই হয়, তাহলে সেদ্ধ ও কয়লায় পুড়িয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে কাবাব খাওয়া সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। বেশি তেল দিয়ে অতিরিক্ত ভাজা মাংস খাওয়া যাবে না।
* কখন খাবেন এ বিষয়ে ডায়েটিশিয়ান ও ডাক্তারদের উপদেশ মানুন। ঘুমানোর অন্তত দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাওয়া শেষ করতে হবে। রাতের খাওয়া শেষে আধা ঘণ্টা হেঁটে আসুন।
* বেশি পরিমাণ মাংস যেহেতু খেতেই হবে তাই খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণ মাংস রাখুন। একেবারে বেশি বেশি না খেয়ে একটু পরপর অল্প অল্প করে খান। মাংস খাওয়ার ফলে যেহেতু দৈনিক ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে যায় তাই ডেজার্ট এবং মিষ্টি খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন।* ঈদের এই কয়েকদিনে অনেকগুলো দাওয়াত পাবেন। জানেন যে এড়াতে পারবেন না, মাংস খেতেই হবে। আর মাংস খেলে হবে হজমের গ-গোল। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় চিনি ছাড়া লেবুর রস এবং গ্রিন টি রাখতে পারেন।
> কুরবানী ঈদে খাদ্যাভাসঃ
# ইদের দিন সকালে নিউট্রিয়েন্ট জাতীয় খাবার দিয়ে খাওয়া শুরু করা যেতে পারে। ফল-মূল, ফলের রস, কিংবা ফাইবার জাতীয় খাবার (ওটস), ডিম ইত্যাদি। দিনের বাকি সময় যেহেতু মাংস খেতে হয় সে ক্ষেত্রে সকালে এই সকল কম ক্যালরির খাবার খেলে সারাদিন মাংস খেতেও সুবিধা হবে এবং হজমেও সহায়তা করবে।
# তিন বেলা না খেয়ে চার- পাঁচ বেলা খাওয়া এবং প্রত্যেক বেলায় বেশি না খেয়ে অল্প অল্প করে খেতে হবে। এতে করে অতিরিক্ত কোনো খাবার খাওয়াও হবে না পাশাপাশি অনেক ধরণের মাংসের রেসিপিও আপনি খেতে পারবেন সারাদিন জুড়ে। এক বেলায় বেশি খেয়ে ফেললে গ্যাস, অম্বল, ডায়রিয়া হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সে ক্ষেত্রে চার-পাঁচ বেলা করে খেলে এই সকল রোগ থেকে রেহাই পেতে পারেন।
# ঈদ মানেই আনন্দ কিংবা খাবার ভাগাভাগি করে নেওয়া। মিষ্টি জাতীয় খাবার অন্যের সাথে ভাগাভাগি করে খাবেন তাহলে সুগার ইনটেক কম হবে ইদের দিন। সারাদিন মাংস খাওয়া এবং তারউপরযদি বেশি মিষ্টি খাওয়া পড়েতাহলে সব মিলিয়ে শরীরের জন্য ক্ষতির কারন হয়ে দাড়াতে পারে।
# ঈদে মাংস খাওয়ার পাশাপাশি অনেক বেশি কোমল পানীয় খাওয়ার প্রবনতা দেখা যায়। যা শরীরের জন্য আরো ক্ষতিকর। কোমল পানীয় এর বদলে লেবুর শরবত বা ফলের রস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে।
#মাংস গ্রিল করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন বেশি মসলাদার বা ফ্রাই খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। নানা রকমের কাবাব স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
> কুরবানীর ইদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাঃ
নিজের শরীরের যেমন খেয়াল রাখা উচিত তেমনি আশেপাশের পরিবেশের প্রতিও খেয়াল রাখা দরকার। বর্ষার মৌসুমে মশার উপদ্রব খেয়াল করতে পারছেন ইদানীং। ডেঙ্গুর মহামারী ঢাকা শহরকে আতঙ্কিত করে রেখেছে। পশুর জবাইয়ের পর যে রক্ত জমে তা রোগজীবানু সহ মশার উপদ্রব বাড়িয়ে তুলে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা জন্য এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখা যেতে পারেঃ
# কুরবানীর পর যত দ্রুত পারা যায় পশুর চামড়া ছাড়িয়ে তা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। যেখানে সেখানে ফেলে চামড়া নষ্ট করা যাবেনা।
# মাংস কাটার উচ্ছিষ্টাংশ যেখানে সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট একটি স্থানে জমিয়ে রেখে পরে তা ডাস্টবিনে ফেলতে হবে। অথবা কোনো স্থানের মাটি গর্ত করে সেখানে পুতে ফেলুন।
# পশুর ভুড়ির বর্জ্য যেখানে সেখানে ফেললে দুর্গন্ধ এবং পরিবেশ নষ্ট হয়। তাই এই বর্জ্যগুলো গর্ত করে পুতে রাখুন কিংবা বস্তায় ভরে রেখে ডাস্টবিনে ফেলুন।
ক্স কুরবানীর কার্যক্রম শেষ হলে যে জায়গায় কাজ করা হয়েছে সেখানের রক্ত ধুয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। পরিষ্কার করার সময় স্যাভলন পানি ব্যবহার করুন জীবানুমুক্ত করার জন্যে।
এরকম কিছু পদক্ষেপ নিলে আপনি আপনার এলাকায় কুরবানীর পরও পরিচ্ছন্ন রাখতে পারবেন এবং পরিবেশ দূষণ রোধ করতে পারবেন। কুরবানীর জন্য অন্য কারো যাতে অসুবিধা না হয় সেদিকে আমাদের সজাগ থাকা নৈতিক দায়িত্ব। পাশাপাশি স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে মাত্রাতিরিক্ত মাংস খাওয়াথেকেবিরত থাকতে হবে এবং খাদ্যাভাসে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে হবে।
পরিশেষে বলতে চাই, পুষ্টি সচেতনতা নতুন কিছু নয়। সুস্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই সবসময় খেয়াল রাখুন আপনি কি খাচ্ছেন। স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে পছন্দের সব ধরনের খাবার গ্রহণ করুন।আর পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে, ঈদুল আজহাকে আনন্দময় করতে এবং নিজের পাড়া-মহল্লাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে আসুন সবাই যে যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসি।ঈদ সবার জন্য বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ।
লেখক, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি
কলাম লেখক ও গবেষক
ইমেইল, drmazed96@gmail.com




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com