শত বছরের দখলকৃত পৈতৃক সম্পত্তি জাল দলিল করে ভিটা বাড়ি থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার আমতলা ইউনিয়নের পাচঁকাহনীয় গ্রামের এমদাদুল হক আকন্দ পিতা মৃত শামছুল হক আকন্দ ও জামাতা শামছুল মিয়ার বিরুদ্ধে। এরা মিলে রবি চৌধুরী নামে একজনের কাছ থেকে একটি ভূয়া জাল দলিল করে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে, দিন দুপরে বাড়িতে এসে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই নিয়ে গ্রামের নিহার রঞ্জন সাহা ও সভাষ রঞ্জন সাহা উভয় পিতা মৃত নিরঞ্জন সাহা তাদের বসত ভিটা জবরদখলের পায়তারা চালাচ্ছে বলে সাংবাদিকসহ সুধী মহলের কাছে অভিযোগ করেছেন। পাচঁকাহনীয়া গ্রামের নিহার রঞ্জন সাহা জানান পাঁকাহনীয়া মৌজার খতিয়ানের ১৭৩.২১১ দলিল নং ৪০৭ দাগ নং ৯০.৯০, জেএল নং ২২৩, জমির পরিমাণ এক একর ৪৮ শতাংশ পৈতৃক সম্পত্তি রয়েছে। তার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে পাশের বাড়ির এমদাদুল হক গংরা নানা ভাবে তাদেরকে অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। তাদের নিজেদের দখলে থাকা জমির উপর একটি ভূয়া দলির করে দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি আরো জানান, ওই সম্পত্তি নিয়ে তারা চরম উদ্বিগ্নতার মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছে। যে কোন সময় ওই চিহ্নিত ভূমিদুস্যু জামাত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা তাদের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করতে পারে এবং বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে এদেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে পারে। এই নিয়ে সুভা রঞ্জন সাহা বলেন আমরা অসহায় অবস্থায় আছি এই বাড়িটি ছাড়া আমাদের আর কোনো সম্পদ নেই । এর মধ্যে পাশের বাড়ির এমদাদুল হকরা যখন তখন বাড়িতে এসে হামলা মামলার ভয় দেখায়। বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমরা যদি বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে না যাই। তাহলে আমাদেরকে গুম হত্যা করে দেশছাড়া করবে বলে হুমকি দিয়ে যায়। এই নিয়ে এমদাদুল হক বলেন দলিল মুল্যে এই সম্পদ ক্রয় করেছি। আমাদের কাছে সকল দলিল পত্রের প্রমাণ আছে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী সংখ্যালঘু পরিবারটি তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা এবং ওই এমদাদুল হক গংদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে সাংবাদিক সহ সংশ্লিষ্ট আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এব্যপারে নেত্রকোণা সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি আকলিমা আক্তার বলেন যারা প্রতারিত হয়েছেন তাদের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।