মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

চিলাহাটিতে চলাচলের রাস্তায় বেড়া দেওয়ায় পরিবার অবরুদ্ধ

আশরাফুল হক কাজল (চিলাহাটি) নীলফামারী :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০২৩

জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে একটি পরিবারকে ৭ দিন ধরে অবরোধ করে রাখা হয়েছে। বাড়িতে চলাচলের রাস্তায় দেওয়া হয়েছে বাঁশের বেড়া দিয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী জেলার চিলাহাটির কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের চাঁন্দখানা গ্রামে। অবরুদ্ধ পরিবারের অভিভাবক বাবলু হোসেন(৪৮) জানান-২০১৬ সালের ১১ জুলাই ধীরেন্দ্রনাথ রায়ের কাছে আমার বসতবাড়ি নির্মাণের জন্য ৭ শতক আর রাস্তার জন্য ২ শতক সবমিলে ৯ শতক জমি কেনার টাকা দেই। ধীরেন্দ্রনাথ রায় জেএল ৮নং এর এসএ ২৬৪৬ এবং বিএস ৪৩৮০ দাগে ৪০ শতক জমির মধ্যে ৭ শতক জমি আমাকে রেজিস্ট্রি দেয় আর রাস্তার বাকি ২ শতক জমি রেজিস্ট্রি দেওয়ার পূর্বেই তিনি মারা যান। ধীরেন্দ্রনাথ রায় মারা যাওয়ার পর তার ছেলে গোড়াবাবু রায় এর কাছে অবশিষ্ট ২ শতক জমি রেজিস্ট্রি চাইলে তিনি বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে এবং আমাকে এবং আমার পরিবারকে বলে আমার বাবাকে টাকা দিয়েছো তার কাছে জমি নাও। এরই মধ্যে গত ৯ জুলাই গোড়াবাবু রায় তার জমির উপরে আমার চলাচলের রাস্তাটি বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়। এদিকে পার্শ্ববর্তী জমির মালিকরা তাদের জমিতে চাষাবাদ এর জন্য আগে থেকেই বেড়া দিয়ে রাখে। ফলে আমি এবং আমার পরিবারের অন্যান্য বাকি ৫ জন সদস্যরা প্রায় ৭ দিন থেকে অবরুদ্ধভাবে জীবন যাপন করছি। এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল এসে গেলেও কোন প্রতিকার পায়নি আমরা। আমার দুই ছেলে আল-আমিন ও রিফাত রাজমিস্ত্রির কাজ করে। অবরুদ্ধ থাকার কারণে তারাও কোন কাজকর্মে যেতে পারছে না। সংবাদকর্মীরা গোড়াবাবু রায় এর কাছে জানতে চাইলে তিনি সংবাদ কর্মীদের সামনে আসেননি। অবরুদ্ধ পরিবারের বাবুল এর স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন কান্না জনিত কন্ঠে বলেন- আজ বেশ কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও আমরা ঠিক মতো খেতে পারি না, ঠিকমতো বাজার ঘাট করতে পারিনা। এমনকি গৃহপালিত পশুগুলোকেও মাঠে নিয়ে যেতে পারি না অবরুদ্ধ থাকার কারণে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম রোমান জানান- আমি খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে দেখি ওই পরিবারটি অবরুদ্ধ অবস্থায় আছে। উভয় পক্ষকে নিয়ে আমি বৈঠকে বসবো।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com