নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকা, নিজ জেলা নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলাসহ সারা দেশে নন্দিত কথাসাহিত্যিক প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৯ জুলাই) দিনব্যাপী উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে হুমায়ূন আহমেদ প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ এসব কর্মসূচির আয়োজন করে।
শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন, কোরআন খতমের মধ্য দিয়ে সকাল ৮টা থেকে আমাদের দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এরপর কালো ব্যাজ ধারণ, কালো পতাকা উত্তোলন, হুমায়ূন আহমেদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অপর্ণ ও শোক র্যালি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে লেখা শিক্ষার্থীদের কবিতা আবৃত্তি, গল্প বলা প্রতিযোগিতা ও দেয়ালিকা প্রদর্শন শেষ হয়েছে। বিকেলে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরও বলেন, পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখবেন, স্থানীয় রোয়াইল বাড়ি আমতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লুৎফুর রহমান আকন্দ, হুমায়ূন আহমেদের চাচাতো ভাই বখতিয়ার আহমেদ আজম ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমসহ সংশ্লিষ্টরা। দিনব্যাপী এসব কর্মসূচিতে শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও হুমায়ূন আহমেদের ভক্ত-অনুরাগীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ গ্রহণ করেন বলে জানান প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান।
উল্লেখ্য, হুমায়ূন আহমেদ ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই নিউইয়র্কের ভেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে ২০০৬ সালে তিনি তার পৈতৃক নিবাস কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এটি ছিল হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্নের স্কুল।