বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
১৫তম জাতীয় সিনিয়র ক্লাব ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় শাম্মী সুলতানার তিনটি অনন্য রেকর্ড জনপ্রশাসন সংস্কারে নাগরিকরা মতামত দিতে পারবেন যেভাবে প্রফেসর তরুণ কান্তি বড়–য়ার রেক্টর পদে যোগদান উপলক্ষে শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভা হাসিনার মতো ’৭১ সালে শেখ মুজিবও পালিয়ে ছিলেন: মির্জা ফখরুল মার্কিন নির্বাচনে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৬ প্রার্থী আগামী ২৬ নভেম্বর শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য মেলা বজ্রপাতে মাঠেই মারা গেলেন ফুটবলার মার্কিন নির্বাচন : কার জয়ে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কে কী প্রভাব পড়বে? ৮ গোপন আটককেন্দ্রের সন্ধান আরও ২৯ সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল

বছরে ৬৫ হাজার শিশু পরোক্ষ ধূমপানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়: ফরিদা পারভীন

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২১ জুলাই, ২০২৩

দেশের কিশোর-কিশোরীদের তামাকমুক্ত রাখতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন বলেছেন, বিশাল সংখ্যক জনসংখ্যা নিয়ে কাজ করছে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। নারী ও শিশুরা তামাক ও ধূমপানের ভয়াবহতার শিকার হচ্ছেন। বছরে ৬৫ হাজার শিশু পরোক্ষ ধূমপানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। পরিবারে বাবা ধূমপায়ী হলে এ ভয়াবহতা বেশি হয়।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকালে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এবং মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থার (মানস) উদ্যোগে অধিদপ্তরের সম্মেলক কক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ফরিদা পারভীন।
কিশোর-কিশোরীদের তামাকমুক্ত রাখতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়ে ফরিদা পারভীন বলেন, সাত হাজারের অধিক কিশোর-কিশোরী ক্লাবের মাধ্যমে তামাকের ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরা হবে। অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কারিকুলামে তামাক নিয়ন্ত্রণ যুক্ত করা হবে। নারীদের ২০ হাজারের বেশি সমিতি রয়েছে সেগুলোর রেজিস্ট্রেশন ও কার্যক্রমে তামাকবিরোধী প্রচারণা করা হবে। তামাকবিরোধী পদক্ষেপ হিসেবে আমাদের ৪৯২টি উপজেলা ও ৬৪ জেলা অফিস ধূমপানমুক্ত ঘোষণা এবং নিয়মিত তদারকি করা হবে। এছাড়া শুদ্ধাচার প্রক্রিয়ায় ধূমপানের ক্ষতি সম্বলিত বার্তা দেওয়া হবে।
মানসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের জিসিও প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন, শিশু দিবাযতœ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শবনম মুস্তারী, আইসিভিজিডি প্রকল্প পরিচালক মোস্তফা কামাল, সচেতনতা শাখার উপ-পরিচালক মাহমুদা বেগম, উপ-পরিচালক আয়েশা সিদ্দিকা, কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. লিয়াকত আলী। মানসের প্রকল্প সমন্বয়কারী উম্মে জান্নাতের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ট্রেজারার হোসনে আরা বেগম রিনা।
অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে তামাকজনিত রোগ, মৃত্যুহার ও অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিজেরা সেবন না করেও তামাকের কারণে পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। গ্যাটস্-২০১৭ এর তথ্যমতে, ৪৪ শতাংশ প্রাপ্তবয়সী বা ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ গণপরিবহনে, প্রাপ্তবয়সী চাকরিজীবীদের ৪২ দশমিক ৭ শতাংশ বা ৮১ লাখ মানুষ কর্মস্থলে এবং ৪ কোটি ৮ লাখ মানুষ বাসায়/গৃহে পরোক্ষভাবে ধূমপানের শিকার হয়। আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই পরিস্থিতি বদলাতে হবে। তামাক কোম্পানিগুলো আমাদের নারী ও শিশুদের দ্বারা তামাক কারখানায় অমানবিক পরিবেশে উৎপাদন কাজ করাচ্ছে। শিশুশ্রম বন্ধে দেশের আইনকেও তোয়াক্কা করে না তারা। আমাদের কিশোর-কিশোরী, তরুণীদের মধ্যে সিগারেট সেবন বাড়ছে মূলত কোম্পানির অপতৎপরতায়। তামাক কোম্পানিগুলো ছোটদের টার্গেট করে দীর্ঘমেয়াদে ভোক্তা বানানোর জন্য। মাদকাসক্তির মূলে রয়েছে ধূমপান। ধূমপান বন্ধ হলে আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মাদকাসক্তি সমস্যা কমে আসবে।
বক্তারা বলেন, নারীরা অনেক ক্ষেত্রেই পরোক্ষভাবে ধূমপানের কারণে শিকার হচ্ছেন। তাই, তামাকের চাহিদা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি উৎপাদন বন্ধের দিকে যেতে হবে। ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে কাজ করার অনেক ক্ষেত্র আছে। মাঠপর্যায়ে উঠান বৈঠক, সভা, সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনে এটি যুক্ত করা প্রয়োজন। নিজেদের সব অধিক্ষেত্রে ‘ধূমপানমুক্ত সাইনেজ’ স্থাপন নিশ্চিত করতে হবে। আইন লঙ্ঘন করে যারা যত্রতত্র ধূমপান করেন তাদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত ও সেটা প্রচার করতে হবে। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কমকর্তারা সেমিনারে অংশ নেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com