রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন

সাবেক সংসদ সদস্য বি.এম. মোজাম্মেল হক নিজেকে বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় শনিবার, ২২ জুলাই, ২০২৩

যার নামটি শুনলেই ভালোবাসায় শরীয়তপুরের লাখো মানুষ আবেগি-উৎফুল্ল হয়ে চোখে আনে জল। বলছি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের টানা পাচঁ বারের সাংগঠনিক-সম্পাদক ও শরীয়তপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বি.এম. মোজাম্মেল হক এর কথা। ২২১ সাংসদীয় শরীয়তপুর-১ আসনটি দুই উপজেলা (পালং ও জাজিরা) নিয়ে গঠিত। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে পঞ্চম বারের মত সরকার প্রদান শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করার লক্ষ্য শরীয়তপুর জেলার গরীব মানুষের মুখে হাসি ফুঁটাতে এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে সাধারণ অসহায় মানুষের খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করতে ছুটে বেড়াচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক মোজাম্মেল হক। নিজের জীবণ বাজি রেখে দিনরাত গরীব, অসহায়, কর্মহীন, শ্রমজীবি, ইমাম মুয়াজ্জিনসহ দলীয় অসচ্ছল নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের সুখ দুঃখের সঙ্গী হয়ে নিজস্ব অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন। দলমত নির্বিশেষে শরীয়তপুরের যে কেউ তার কাছে গেলে সাহায্য সহযোগিতা না পেয়ে ফিরে না। তার আদর্শ ও ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে এ জেলার মানুষ তাকে মানবতার ফেরিওয়ালা বলে আখ্যায়িত করেছেন। মানবতার এক অনন্য উদাহরণ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শরীয়তপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বি.এম. মোজাম্মেল হক।
তিনি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের জানখার কান্দি গ্রামের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারের সন্তান। ছোট বেলা থেকেই, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সুনামধন্য স্কুল শিক্ষক পিতা মরহুম হাছান উদ্দিন ভূইয়ার হাত ধরেই ছাত্রাবস্থায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন মোজাম্মেল হক। জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত হাতিয়ার। তার শৈশব কেটেছে নিজ গ্রামে। লেখাপড়া তিনি যেমন ছিলেন মেধাবী, তেমনি দুরন্তপনায় মাতিয়েছেন পুড়ো গ্রাম। ৮০ এর দশকে রাজপথের ছাত্রলীগের সাহসী সৈনিক। ১ ইলেভেন সরকারের সময় আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলে জাতীয় ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ যখন নেত্রীর বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করেন তখন তিনি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রায়ত মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে সমস্ত রক্ত চক্ষাকে উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজের দায়িত্ব, কর্তব্য পালন করেন। ছাত্র জীবনে সামরিক স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে তার উপরে থাকা দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন। এছাড়া ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।পরে আবার ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায?িত্ব পালন করেন এই নেতা। ছাত্র রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার পর পরই তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য পদ গ্রহণ করেন।শরীয়তপুর জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির ও কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের নিবার্চনের পরে তাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে সদস্য হিসেবে কো-অপশন করা হয়। ২০০২ সালের ২৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় কাউন্সিলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের উপ-দপ্তর সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে শরীয়তপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য বিজয়ী হন। পুনরায় দ্বিতীয়বার ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়া ২০০৯ সালে ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিত জাতীয় কাউন্সিলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে অর্জন করেছেন খ্যাতি ও সুনাম। সেই থেকে সততা,দক্ষতা, সফলতার সাথে ২২ তম কাউন্সিল পযন্ত পঞ্চম বারের মতো সাংগঠনিক-সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়ে অদ্যাবধি তার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বি.এম.মোজাম্মেল হক বলেন, আমি সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে দুর্নীতিমুক্ত থেকে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছি। ভবিষ্যতেও আমি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে মানুষের সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে যাবো। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করেছি, দলকে সুসংগঠিত করার পাশাপাশি পালং-জাজিরাসহ এ জেলার গরিব, দুস্থ, অসহায় নির্যাতিত, নিষ্পেসিত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে কাজ করে গিয়েছি এবং যতদিন এই দেহে প্রাণ আছে ভবিষ্যতেও এভাবেই মানব সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেব ইনশাআল্লাহ্।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com