নিজের আউট নিয়ে ভীষণ অসন্তুষ্ট হারমানপ্রিত কাউর। ভারতের অধিনায়ক কিছুতেই আউটের সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেননি। মাঠে নানাভাবে সে আউটের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ততটুক পর্যন্ত মানা যায়।
কিন্তু খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রীতিমত চরম অভদ্র আচরণ করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। ড্র হওয়া সিরিজ শেষে ট্রফি নিয়ে ছবি তুলতে গিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ককে বলেছেন, তোমাদের দলের সাথে আম্পায়ারদেরও ডাকো। তারাওতো জিতেছে।
ভারতীয় নারী অধিনায়ক বোঝানোর চেষ্টার করেন, বাংলাদেশের নারী দল যে তাদের সাথে সিরিজ ড্র করেছে, তার বড় কৃতিত্ব বাংলাদেশের আম্পায়ারদের। এমন কথা শোনার পর বাংলাদেশ দল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের জায়গা ত্যাগ করে যায়।
প্রতিপক্ষ অধিনায়কের এমন অখেলোয়াড়োচিত ও নেতিবাচক মনোভাব এবং খারাপ ও দৃষ্টিকটু আচরণে আজ শনিবার পড়ন্ত বিকেলে শেরে বাংলায় খানিক উত্তেজনাকর পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটলো। তবে ভারতীয় অধিনায়কের এমন আচরণ নিয়ে কোনোরকম মন্তব্য করতে রাজি হননি বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
জ্যোতির কথা, ‘আমি তো ম্যাচ খেলেছি। আমার মনে হয় ক্রিকেট নিয়ে কথা বলাটাই ভালো। কারণ আমরা উইকেট, আম্পায়ারিং নিয়ে চিন্তা করি নাই। আমরা শুধু ম্যাচ খেলেছি। আমার মনে হয় প্রতিটি খেলোয়াড় চেষ্টা করেছে শতভাগ দেওয়ার। বাকি ওরা কী বলছে, সেটা নিয়ে চিন্তা করছি না।’
কিন্তু ভারতীয় নারী অধিনায়কের আচরণটা চোখে লেগেছে। এবং খেলা শেষে যে মন্তব্য করেছেন, সেটাও ক্রিকেট ও আম্পায়ারদের জন্য অসম্মানজনক। তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে বলা হলে বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক বলেন, ‘ভারতীয় অধিনায়ক যেটা বলেছে, সেটা ওরই কথা। আমাদের কোনো কিছু না। আমার মনে হয় ক্রিকেটার হিসেবে ও আরেকটু বেটার ম্যানার নিয়ে কথা বলতে পারতো। যেটা আমার কাছে মনে হয় ও করেছে, ওর ব্যাপার। আমার এটা নিয়ে কথা বলা উচিত হবে না।’
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে হারমানপ্রিত কাউরের চরম বাজে আচরণ ও খারাপ কথাবার্তায় বাংলাদেশ দল নিয়ে চলে যান অধিনায়ক জ্যোতি। সে সম্পর্কে বাংলাদেশ দলপতি বলেন, ‘কিছু কথা বলেছে, যেগুলো শুনে আমার মনে হয়নি ওখানে থাকা উচিত হবে দল নিয়ে। ক্রিকেট খুবই সম্মানের একটা জায়গা, শৃঙ্খলার জায়গা। সবচেয়ে বড় কথা, এটা জেন্টাল ম্যান গেম। আমার কাছে মনে হয় ওই পরিবেশ ছিল না, তাই দল নিয়ে চলে এসেছি।’
আম্পায়ারিং নিয়ে জ্যোতির ব্যাখ্যা, ‘তারা আউট না হলে তো আম্পায়াররা আউট দিতেন না। ওয়ান অব দ্য বেস্ট আম্পায়ার দেওয়া হয়েছে। যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছেলেদের আম্পায়ারিং করেন। অবশ্যই চিন্তাভাবনা করে ওদের দেওয়া হয়েছে। আমরা সম্মান করেছি তাদের সিদ্ধান্ত। আমরা আউট হলে ওরকম করলাম না কেন? খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের সিদ্ধান্ত মানা উচিত। আউট হই বা না হই। যেগুলো রান আউট ক্যাচ হয়েছে, সেগুলো নিয়ে কী বলবেন তারা।’